ফর্সা ও মেধাবী বাচ্চা পেতে গর্ভাবস্তায় কি খাবেন? জেনে নিন

311

ফর্সা ও মেধাবী বাচ্চা- আপনি যখন গর্ভবতী,ক্ষুধা তখন যেন আয়ত্তের বাইরে।ক্ষিধে তখন যেকোনো সময় হানা দেয়।মহিলারা তখন নানারকম সাদা খাবার খায় এই ভেবে যে এতে ফর্সা হবে। যদিও অনেকেই আমাদের মধ্যে শিক্ষিত,তাও।

বিশেষঞ্জদের মতে যদিও সন্তানের বর্ণ আপনার খাওয়ার ওপর নির্ভর করে না, সেটি ঠিক হয় বাবা মায়ের গায়ের রঙের ওপর – তারই মিশ্রণে। কিন্ত ভারতীয়রা অনেক পৌরাণিক কথায় বিশ্বাস রাখে, এবং তাই মানে যে এরকম কিছু খাবার খেলে গর্ভের সন্তান ফর্সা হবে।

আপনার যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে এসব পুরাণ কথায় তাহলে এই সব খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ হওয়া উচিত।যদিও এসব খেয়ে বাচ্চা আপনার ফর্সা হবে এমন কোনো কিছু নিশ্চিত হওয়া যায় না।

যত রকমের সাদা খাবার খাওয়া যায় গর্ভাবস্হায় ততই সম্ভাবনা বাচ্চা ফর্সা হয়ে জন্মানোর। এই সব খাবার বিধি মেনে চলার প্রবণতা শুধুমাত্র ভারতীয় নারীর মধ্যেই দেখা যায়। আপনিও যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে খেয়ে দেখুন এই খাবারগুলো গর্ভাবস্হায় ফর্সা বাচ্চার জন্য।

কেশর দুধ

কেশর দুধ প্রচুর মহিলা গর্ভাবস্হায় কেশর দুধ খান।তাদের বিশ্বাস যে কেশর সন্তানকে ফর্সা হতে সাহায্য করে।কেশর গর্ভে বেড়ে ওঠা বাচ্চার ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

নারকেল

নারকেল আপনি যদি ফর্সা বাচ্চা চান, তাহলে নারকেলের সাদা শ্বা্সটা খাওয়ার অভ্যেস করুন। আমাদের বিশ্বাস সাদা শ্বাস বাচ্চা ফর্সা হতে সাহায্য করে।

দুধ

দুধ গর্ভাবস্হায় প্রতিটি মহিলার উচিত বেশি করে দুধ খাওয়ার।দুধের বিভিন্ন গুণের জন্য দরকার, বাড়ন্ত ভ্রুণের সুগঠনের জন্য।

ডিম

ডিম মনে করা হয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাসের মধ্যে ডিমের সাদা অংশটা খুব ভালো ফর্সা বাচ্চা হওয়ার জন্য।

আলমন্ড

আলমন্ড কোনো স্ত্রী যদি ফর্সা সন্তান চান, তাহলে গর্ভাবস্হায় শুকনো বা ভেজানো আলমন্ড বাদাম খাওয়া উচিত।ভারতীয় বিশ্বাস,আলমন্ড মিশ্রিত দুধ গায়ের রং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে,এবং তাই গর্ভাবস্হায় খাওয়া উচিত।

ঘি

ঘি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলারা খাবারের মধ্যে ঘি-এর মাত্রা বেশি থাকে,তাদের প্রসব যণ্ত্রণা কম হয়।ওদিকে পুরোনো ভারতীয় চিন্তাধারা অনুযায়ী, ঘি ভ্রুণের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সহায়ক। তাই তেলের জায়গায় ঘি খান।

কমলা লেবু

কমলা লেবু গর্ভাবস্হায় রসাল ফলের মধ্যের কমলালেবু খাওয়া উচিত। এটি ভিটামিন সি-এ ভর্তি,যা বাড়ন্ত বাচ্চার পক্ষে খুব ভালো,এবং ত্বকের বর্ণোজ্জ্বল করতেও সহায়ক।

আনারস

আনারস এটা একটি খুব চলতি বিশ্বাস ভারতীয়দের কাছে, যে আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে,যা ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।আপনি যদি চান আপনার সন্তান ফর্সা হোক,তাহলে প্রতি সপ্তাহে এক গ্লাস করে আনারসের রস খান।

মৌরি

মৌরি মৌরি ভেজানো জল ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে খুব কার্য্যকরি।গর্ভবতী মহিলাদের রোজ সকালে ৩মিলি মৌরি ভেজানো জল খাওয়া উচিত। এতে অবশ্য গা বমি ভাবটাও অনেকটা কাটে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.