দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
ঢাকা: বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে খ্যাত মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত করে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচর থানা থেকে মামলার এজহারের অনুলিপি আদালতে আসে। ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী তা গ্রহণ করেন। পাশাপশি ওই থানার এসআই অনিরুদ্ধ রায়কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এরআগে সকালে দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, ভুইফোঁড় সংগঠন বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম করে টাকা আদায়, চাকরি দেওয়া এবং পদায়নের জন্য টাকা নিতেন। এক সময় একটি ছোট দর্জির দোকানে চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। ফেসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বন্ধু হন। একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবী, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি সম্পাদনা করে যুক্ত করে নিতেন। দর্জি মনির নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তিনি ও তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরী এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন।
বাদী ইসমাইল হোসেন জানান, ৩০ জুলাই দুপুরে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনির তার সংগঠনের পদ প্রদান ও বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসস্পর্ক করিয়ে দেওয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আসছেন।
ইসমাইল বলেন, মনির ফেসবুকে নিজেকে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে এলাকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।