শাহজালাল বিমানবন্দরের রেস্টুরেন্টে মরা মুরগি, ব্যাখ্যা চায় বেবিচক
ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্ট’-এ সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু তাদের চোখ ‘ফাঁকি’ দিয়েই দিনের পর দিন সেখানে রান্না করা হতো মরা মুরগি। আর সেই খাবার ভোক্তাদের পরিবেশন করত হোটেল কর্তৃপক্ষ। শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি। গত ১২ জুন ওই রেস্টুরেন্ট থেকে ১৮৬টি মরা মুরগি উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গ্রেপ্তার করা হয় রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার, বাবুর্চি, মৃত মুরগির জোগানদাতা, মুরগি বহন করা গাড়ির চালকসহ সাতজনকে। সংরক্ষিত ওই এলাকায় ভোক্তাদের সঙ্গে নজিরবিহীন এ প্রতারণায় বিমানবন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় ‘এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্ট’ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ববিচক)।
গত রোববার এক চিঠির মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট সংশ্লিষ্ট আমিন মোহম্মদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রমজানুল হক নিহাদের (লিজ মালিক) কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছেন বেবিচকের উপপরিচালক (সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) ইসরাত জাহান পান্না। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের পশ্চিম পাশে ইজারাকৃত এয়ারপোর্ট রেস্টুরেন্টে গত ১২ জুন বিকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট। এ সময় ওই রেস্টুরেন্টের সামনে ১৩৩টি মৃত, ৫৩টি জবাই করা ও কিছু জীবিত মুরগি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রেস্টুরেন্টের অ্যাকাউন্ট্যান্ট রবিউল ইসলাম ও হিসাব সহকারী ইস্রাফিল হোসেন, বাবুর্চির সহকারী সালাউদ্দিন ও মরা মুরগি বহনকারী ট্রাকের সহকারী রানাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সালাউদ্দিন ও রানা মরা মুরগি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন। এতে বিমানবন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইজারায় সম্পাদিত চুক্তির ১৪ নম্বর শর্তের পরিপন্থী। এ অবস্থায় এয়াপোর্ট রেস্টুরেন্টে মৃত মুরগি পাওয়া যাওয়াসহ এ ধরনের অনৈতিক কাজ সংঘটনের বিষয়ে চিঠি জারির সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ করা হয়েছে। অন্যথায় বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।