কঠোর লকডাউন বাড়ল ১০ আগস্ট পর্যন্ত

418

ঢাকা: করোনা মহামারির মধ্যে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ১১ আগস্ট থেকে সারাদেশের দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। সীমিত পরিসরে রোটেশন করে যানবাহন চলবে, খুলবে অফিস।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা কক্ষে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আগামী ১১ আগস্টের পর ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা করোনার টিকা না নিয়ে মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী এক সপ্তাহে এক কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ন্যূনতম দুইটি করে কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। যার ফলে আশা করছি কষ্ট করে ভ্যাকসিন নেওয়ার পেছনে দৌঁড়াতে হবে না। প্রায় ১৪ হাজার কেন্দ্রে একসঙ্গে সপ্তাহব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার, বাসের হেলপারদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন না দিয়ে কেউ কোনো কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। যার যার এলাকা থেকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।

তিনি বলেন, কেউ ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা, সেই তথ্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে, কেউ মিথ্যা বলতে পারবে না। দোকানপাট খোলার আগে ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট তিনদিন সুযোগ রাখলাম। এই সময়ের মধ্যে যাতে ভ্যাকসিন নিতে পারে সেই সুযোগ দিচ্ছি। ১১ আগস্ট থেকে যাতে দোকানপাট খুলতে পারে সভা সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কতদিন চলবে কেউ জানে না। যত শিগগির সম্ভব নিজেরা বা অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে যাতে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি। সেটা হলে সবাইকে ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। চেষ্টা করব যাতে ৪/৫ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদন করা যায়। আইসিইউয়ের অভাব রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের কনভেনশন সেন্টারে আগামী শনিবার থেকে ডেডিকেডেট আইসিইউ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, কিছু রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেওয়া হয়েছে, নইলে বিশ্ব বাজার হারাতে হবে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে এগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ কমাতে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আটদিনের জন্য সব বিধিনিষেধে তুলে নেওয়া হয়। গত ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে, যা ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। শেষ ধাপের বিধিনিষেধের মধ্যে সব ধরনের শিল্প কলকারখানা বন্ধ রাখা হলেও গত রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। 

Leave A Reply

Your email address will not be published.