রোগ নিরাময়ে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ঘি
স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর ঘি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট। ছোট ও মাঝারি `চেইন’ শরীরের প্রদাহ মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ ঘি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
পানির সঙ্গে ঘি ব্যবহার করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত কারণে পেটে ব্যথা সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা সম্পর্কে সবাই জানেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে চাইলে এই আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। এজন্য মাত্র এক চামচ ঘি ও এক গ্লাস গরম পানির প্রয়োজন। তা তা পান করলে পেটের সমস্যার সমাধানে গরম পানি ও ঘি-এর কার্যকারিতা অনুভব করা যেতে পারে।
ঘিকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। কিন্তু তা ব্যবহার করে উপকার পেতে হলে সঠিক ব্যবহারের উপায় জানতে হবে। ঘিতে প্রচুর পরিমাণে বিউট্রিক অ্যাসিড থাকে। এই বিউট্রিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে সহায়ক বলে মনে করা হয়। বিউট্রিক অ্যাসিড পরিপাকের ক্ষেত্রেও সহায়ক। তা মলের বেগ বাড়াতেও সহায়ক। তা পেটে ব্যাথা, গ্যাস, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো দূর করার ক্ষেত্রে উপযোগী বলে মনে করা হয়।
ঘি প্রাকৃতিকভাবে মলকে নরম করে তোলে। ঘি খেলে তা হাড়ের জোরও বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস ও পর্যাপ্ত ঘুমের মতো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকার পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে ঘি শরীরের উজ্জ্বলতাও বাড়ায় এবং অন্ত্রের পথ সাফ করে। এতে শরীরে বর্জ্যের বেগ ঠিক হয়। সেইসঙ্গে ঘি-এর ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কাকেও কম করা যেতে পারে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২০০ মিলিগ্রাম হালকা গরম পানিতে এক চামচ ঘি মেশাতে হবে। ভালো ফল পেতে হল, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তা খেতে হবে। পাচন নালি, অন্ত্র ও পেশ শুষ্ক, কঠোর হয়ে পড়লে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। ঘি থেকে যে মসৃণতা পাওয়া যায়, তাতে পাচন নালি মোলায়েম হয় এবং শরীরে বর্জ্য সহজে বেরিয়ে যাওয়ার পথ করে নেয়।