পেয়ারার ৮ স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। যে কেআন মৌসুমেই পাওয়াও যায়। শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল, নখ ইত্যাদি সুস্থ রাখতে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, শরীর যাতে খাবারে উপস্থিত নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। আসুন জেনে নেই পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১। ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি-৩ এবং বি-৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেনের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
২। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: প্রতিদিন একটি পেয়ারা খেলে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে বেশি সময় লাগে না।
৩। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ফলটি যেহেতু গ্লাইকেমিক ইনডেক্সে একেবারে নিচের দিকে আসে, তাই পেয়েরা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
৪। হার্টের ক্ষমতা বাড়ে: শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম লেভেল টিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় পেয়ারা। এছাড়া ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখে।
৫। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।
৬। ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায়: পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
৭। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমে: শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও কমে যায়। আর ফলের মধ্যে পেয়ারায় মধ্যেই রয়েছে সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার।
৮। যে কোন সংক্রমণের আশঙ্কা কমে: এই ফলটিতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর জীবাণুদের মারতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত সমস্ত ধরনের বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়।