ভারতীয় ভিসার জন্য করণীয়

485
বেশিরভাগ বাংলাদেশীর বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয় ভারত দিয়েই। এর কারণ খুব অল্প সময়ে ও অল্প খরচে এ সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের ক্ষেত্রে এদেশের মানুষের জন্য ভারতই সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। দেশটির ভিসা চাহিদা যে হারে বাড়ছে, তেমনি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উৎপত্তি হচ্ছে। সাধারণ কিছু প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দেয়া হল –

প্রশ্ন ১: ভিসার জন্য আবেদন করতে পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত কয়মাস থাকতে হবে?
ডেইলি বাংলাদেশ: ৬ মাস।

প্রশ্ন ২: ইন্ডিয়ান হাইকমিশন অব বাংলাদেশ কি কি ভিসা প্রদান করেন?
ডেইলি বাংলাদেশ: বাংলাদেশেীদের নয়টি ক্যাটাগরিতে ভিসা প্রদান করে থাকে-
১. ব্যবসায়িক ভিসা
২. দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণ ভিসা
৩. ট্রানজিট একক ও দ্বি-প্রবেশাধিকার ভিসা
৪. মেডিকেল ভিসা
৫. স্টুডেন্ট ভিসা
৬. গবেষণা বা রিসার্চ ভিসা
৭. কনফারেন্স বা সম্মেলন ভিসা
৮. এমপ্লয়মেন্ট বা কর্মসংস্থান ভিসা
৯. ট্রেইনিং বা প্রশিক্ষণ ভিসা

প্রশ্ন ৩: ভারতীয় ভিসা আবেদনের আগে কি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে?
ডেইলি বাংলাদেশ: আবেদনের পূর্বে আপনাকে যে কাজগুলো সম্পন্ন করে নিতে হবে-

১. সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ২ বাই ২ সাইজের রঙিন ছবির সফট কপি এবং হার্ড কপি সংগ্রহ করতে হবে। যা অনলাইনে আবেদন ও জমাকৃত মূল কাগজ-পত্রে ব্যবহৃত হবে।

২. ৬ মাসের ব্যাংক হিসাব বিবরণী বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অন্তত ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে। কিংবা পাসপোর্টে ডলার অ্যান্ডোর্সমেন্ট অন্তত ১৫০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৫,০০০ ডলার।

৩. ভিসার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহ।

প্রশ্ন ৪: অনলাইনে ভিসা আবেদন করা কি বাধ্যতামূলক?
ডেইলি বাংলাদেশ: অনলাইনে ভারতীয় ভিসা আবেদন সকল বিদেশী নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৫: অনলাইন নিবন্ধনের পর কোথায় ভিসার আবেদন দাখিল করবো?
ডেইলি বাংলাদেশ: বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যারা চট্টগ্রাম বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগ বসবাস করছে, তারা আইভ্যাক, ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), আইভ্যাক, খুলনা/ আইভ্যাক, ময়মনসিংহ/ আইভ্যাক, যশোর/ আইভ্যাক, বরিশাল/ আইভ্যাক, সিলেট- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেসব পাসপোর্টধারী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তারা আইভ্যাক, চট্টগ্রাম- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। বাংলাদেশী নাগরিক, যারা রাজশাহী বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, রাজশাহী/ আইভ্যাক, রংপুর- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যারা সিলেট বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, সিলেট/ আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।

প্রশ্ন ৬: আবেদনপত্র জমা দিতে কি আগে থেকে কোনো অনুমতি লাগবে? 
ডেইলি বাংলাদেশ: আবেদন পত্র জমা দিতে কোনো প্রকার ই-টোকেন বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে না। অনলাইনে ফর্ম পূরণ করুন, আবেদন পত্র প্রিন্ট করুন, সকল প্রকার কাগজপত্রসহ চলে যান ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লেকিশন সেন্টারে।

প্রশ্ন ৭: আবেদন পত্র জমা দিতে কি কি লাগবে?
ডেইলি বাংলাদেশ: আবেদন পত্র জমা দিতে যা যা লাগবে–

১. ভিসা আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি।
২. সদ্য তোলা ২ বাই ২ সাইজের ছবি (ছবির পিছনে পাসপোর্ট অনুযায়ি স্বাক্ষর সহ)।
৩. জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি (যা দিয়ে পাসপোর্ট করেছেন)।
৪. ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ডলার অ্যান্ডোর্সমেন্ট।
৫. ট্রেড লাইসেন্স/ এন ও সি/ স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের কপি।
৬. পাসপোর্টের ফটোকপি।
৭. ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রে (বাবা-মা, ভাই-বোন, অবিবাহিত, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে) যিনি পাসপোর্ট জমা দিতে আসবেন তার পাসপোর্টের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৮. পুরাতন পাসপোর্ট অবশ্যই সাথে নিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন ৮: ভিসা ফি কত টাকা এবং কিভাবে জমা দিতে হবে?
ডেইলি বাংলাদেশ: ভিসা ফি ৮০০ টাকা যা অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। যে কোনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট এবং বেশ কিছু ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা ও মাস্টার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।

প্রশ্ন ৯: ভিসা আবেদন পত্রের মেয়াদ কতদিন এবং ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগবে?
ডেইলি বাংলাদেশ: আবেদন পত্রের মেয়াদ থাকবে রেজিস্ট্রেশনের দিন হতে ৯ দিন। এছাড়া সাধারণত ৩ থেকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার আপনার আবেদনপত্র গ্রহণের পরে একটি স্লিপ দিবে যাতে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.