এসি নির্ভর জীবনে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে

264

রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতেও এখন এয়ারকন্ডিশনারের (এসি) ব্যবহার বাড়ছে। মানুষ এয়ারকন্ডিশনারের ওপর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ঢাকার অফিসগুলো এখন পুরোপুরি এসি নির্ভর হয়ে পড়েছে। চাকরিজীবীদের অফিসে ৮-৯ ঘণ্টা টানা সেন্ট্রাল এসির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। তাই বাড়িতে ফিরে ফ্যানের বাতাস যেন গায়েই লাগতে চায় না। এ কারণে অনেকেই ঘরেও এসি লাগান। এভাবে এসির প্রতি অতিনির্ভরশীলতা বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনছে।

এসি নির্ভর জীবনে কী কী স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে চলুন তা জেনে নেয়া যাক- শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা: দিনের বেশিরভাগ সময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে শ্বাসতন্ত্রের  বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ এয়ারকন্ডিশনার শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

অবসাদ: এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব মানুষ দিনের বেশিরভাগ সময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকেন, তারা মাথা ব্যথা ও অবসাদে বেশি ভোগেন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর আপনার ঠাণ্ডার সমস্যা ও ফ্লু’র প্রকোপ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে।
ত্বকের শুষ্কতা: বেশি সময় এসির মধ্যে থাকলে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে ত্বক আর্দ্র করার কোনো ব্যবস্থা না নিলে শুষ্ক ত্বক বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। চোখের সমস্যা: এসি চোখের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন: কনজাংটিভাইটিস। এছাড়া চোখে লেন্স ব্যবহারকারীরাও সমস্যায় ভুগতে পারেন।

রোগের প্রকোপ: এসি বেশকিছু রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন: ব্লাড প্রেসার, আর্থাইটিস, বিভিন্ন ধরণের স্নায়ুর সমস্যা। এছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময় এসির মধ্যে থাকলে অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে।
এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়: এয়ারকন্ডিশনার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা ২১-২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। তাপমাত্রা যেন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর শীতকালে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে লোশন ও ক্রিম ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে মুখ, হাত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে চাদর ব্যবহার করুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.