রক্তশূন্যতা দূর করে মূলা শাক

358

স্বাস্থ্যসেবা ডেস্ক ॥
মূলা শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলার চেয়ে এর শাক বেশি উপকারী। এই শাকও এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়।
মূলায় যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান আছে তার তুলনায় এর শাকে পুষ্টি বেশি থাকে। এতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমন- আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, ফসফরাস এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে।

মূলা শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্টকাঠিন্য কমায়, ভালো রাখে পাকস্থলী।

এই শাক আয়রনের জন্য আদর্শ। এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মূলা শাকে থাকা আয়রন এবং ফসফরাস ফ্যাটিগো কমায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মূলা শাকের জুস প্রাকৃতিকভাবে ইউরিনারি ব্লাডার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

মূলা শাকে অবিশ্বাস্য পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এটি স্কার্ভি নামক চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। মূলা শাকে মূলার চেয়ে বেশি এন্টিসারব্যাটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মূলা শাক পাইলসের ব্যথা সারাতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া পাইলসের প্রদাহ সারাতেও এই শাক ভূমিকা রাখে।

মূলা শাক জন্ডিসের চিকিৎসাতেও ভাল কাজ করে। জন্ডিস হলে এই শাকের জুস যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তাহলে উপকার পাওয়া যায়।

হাঁটুর ব্যথা কমাতে মূলা শাক বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজন্য শাক ভালোভাবে পিষে তাতে সম পরিমাণে চিনি আর সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর আক্রান্ত স্থানে তা লাগান। তাহলে হাঁটুর ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও মূলা শাক বেশ কার্যকরী । এছাড়া শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও মূলা শাক বিশেষ ভূমিকা রাখে। সূত্র :  স্টাইলক্রেজ

Leave A Reply

Your email address will not be published.