উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ফল খান

290

বয়স একটু বাড়লে ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার বাধ্যবাধকতা তো আছেই, পছন্দের অনেক খাবারে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। তা ছাড়া অনেক সময় এমনও ঘটে যে উচ্চ রক্তচাপের বিষয়টি বোঝা যায় না, যে কারণে অনেকে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিন্তু বেশ কিছু ফল আছে যা খেলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এসব ফলের কিছু মৌসুমে আবার কিছু সারা বছর পাওয়া যায়। কিছু ফল দামি আবার কিছু কম দামের ফলও আছে। সেসব নিয়েই আজকের আলোচনা।

কলা

রক্তচাপ কমাতে চাইলে কলা দারুণ এক উপায়। কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। অথচ এ ফলটি পটাসিয়ামে ভরপুর। আর পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ অন্তত ২ থেকে ৩ পয়েন্ট কম থাকে।

তরমুজ

গ্রীষ্মকালে সহজে পাওয়া এ ফলটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি আঁশযুক্ত ফল। তা ছাড়া এ ফলটিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং পটাসিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান। আর এসব উপাদানই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

কমলালেবু

চমৎকার সব ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এটি। এই ফলটি একদিকে যেমন রসনা মেটায় তেমনি রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন এক গ্লাস কমলার রস বা কয়েকটি কমলা খেলে শরীরের ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা মেটানো যায়।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম থাকলে একদিকে যেমন সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে তেমনি রক্তচাপও কম থাকে।

আঙুর

সারা দিনের কাজ শেষে এক গ্লাস আঙুরের রস রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকরী। কেননা আঙুরে আছে পোলিফেনলস, যা রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

শিম

শরীরের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আঁশের অভাব মেটানোর দারুণ এক উপায় শীতকালীন সবজি শিম। শিমে থাকা এসব উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.