ভোটারদের হুমকি দিয়ে মেইল পাঠাচ্ছে ইরান, দাবি এফবিআইয়ের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর সমর্থক ভোটারদের ইমেইল পাঠিয়ে ইরান হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন আগে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এ ধরনের ঘোষণা এলো। খবর বিবিসির
আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন র্যােটক্লিফ বলেছেন, ইমেইল গুলো কট্টরপন্থী ট্রাম্প সমর্থক একটি গ্রুপের কাছ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।
‘অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার’ উদ্দেশ্যেই ইমেইলগুলো পাঠানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘ইরান ও রাশিয়া ভোটারদের কিছু তথ্য’ হাতে পেয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন।
নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিদেশি সংস্থা ভোট গ্রহণে হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া তথ্য ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের।
র্যা টক্লিফ বলেছেন, ইরান যে ইমেইলগুলো পাঠিয়েছে, সেগুলো ট্রাম্পের কট্টরপন্থী সমর্থক গ্রুপ ‘প্রাউড বয়েজ’এর নাম ব্যবহার করে ভোটারদের ‘ভয় দেখাতে, বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুনাম ক্ষুণ্ণ’ করতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ভোটারদের তথ্য ব্যবহার করে ‘নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ভুয়া তথ্য’ ছড়ানো হতে পারে, যা ‘বিভ্রান্তি, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস হ্রাস’ করানোর প্রচেষ্টা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইরানের পাশাপাশি রাশিয়ার কাছেও কিছু ভোটারের তথ্য আছে বলে দাবি করেছেন র্যা টক্লিফ। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইরানের মত ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে একই ধরনের কর্মকাণ্ড’ লক্ষ্য করেননি বলে জানান র্যা টক্লিফ।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেন, মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতি এখনও নিরাপদ এবং ‘স্থিতিশীল’।
ভোটারদের তথ্য কীভাবে ফাঁস হচ্ছে অথবা রাশিয়ার কর্মকর্তারা ওই তথ্য নিয়ে কী করছে সে বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানাননি।
এর আগে, ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছিল যে ক্রেমলিন সমর্থিত হ্যাকাররা সাইবার হামলা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল।