যুক্তরাষ্ট্রে নাইটক্লাবে বন্দুক হামলায় ৩ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরে একটি নাইটক্লাবে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গোলাগুলিতে আহত আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
গোলাগুলির সময় নাইটক্লাবটিতে কমপক্ষে ৩০ জন ছিলেন। এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় দোষীদের খোঁজে শহরে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে হিউস্টন শহরের ডিডি স্কাই ক্লাবে হামলা চালানো হয়। হিউস্টন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনসন জানিয়েছেন, নাইটক্লাবে গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। অপর একজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পুলিশের ধারণা, কমপক্ষে দুইজন বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। তবে, হামলাকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।
হামলার সময় ওই নাইটক্লাবে থাকা কেড ট্রামেল নামের এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি ও তার বন্ধু প্রাণ হাতে করে নাইটক্লাব থেকে পালিয়ে আসার আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১০ বার গুলির শব্দ শুনেছেন।
ওই ব্যক্তির বর্ণনা অনুযায়ী, গুলি চলার সময় মেঝেতে পড়ে গিয়ে কোনো ভাবে নিজেদের রক্ষা করেছেন। তারপর, পড়িমরি করে তিনি ও তার বন্ধু নাইটক্লাব থেকে পালিয়ে আসেন। এই যুবক একজন লোকাল হিপহপ শিল্পী।
২০ বছর বয়সী ট্রামেলের কথায়, গুলির শব্দে ক্লাবের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। নিজের প্রাণ রক্ষায় যে যার মতো দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে থাকে। ভয়ে তারাও দৌড়ে পালান। যত দ্রুত সম্ভব নাইটক্লাবের বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে টেক্সাসের সাদারল্যান্ড স্প্রিংয়ের একটি গির্জায় বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
ওই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, বিশ্বের অন্য আরও দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও মানসিক অবসাদগ্রস্তের সংখ্যা বাড়ছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে সে সময় বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল।