রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান?

280

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ জন। এনিয়ে মোট মারা গেলেন ১,৪২৫ জন। এছাড়া একই সময়ে আরও ৩,২৪০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,০৮,৭৭৫ জন।

এমন অবস্থায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটলেও, করোনার ভয়কে দূরে সরিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এগিয়ে চলেছে মানুষ। করোনা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি নজর দিয়েছেন নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকেও। 

চিকিৎসকদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। তবে এর জন্য নজর দিতে হবে সুষম খাবারের দিকে। খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে জিঙ্ক বা দস্তা, যা আমাদের শরীরের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। 

জেনে নিন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন কোন জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারগুলি খাওয়া প্রয়োজন-

দুগ্ধজাত খাবার :  জিঙ্কের উৎস হিসেবে দুধ এবং দই সবচেয়ে উপকারি একটি খাদ্য। জিঙ্কের পাশাপাশি এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা দাঁত, হাড় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। 

কাজু বাদাম : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে রোজ খান বাদাম। ২৮ গ্রাম কাজু বাদামে জিঙ্কের পরিমাণ থাকে ১.৬ মিলিগ্রাম। শুধু কাজু নয়, খেতে পারেন আমন্ড ও অন্যান্য বাদাম। এগুলিতে থাকা ভিটামিন কে, ভিটামিন এ ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 

ডার্ক চকোলেট : ডার্ক চকোলেটে থাকা জিঙ্ক ও ফ্ল্যাভনয়েড, ইমিউনিটি পাওয়ারকে বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকর। তাই রোজ এক টুকরো বা ১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট গ্রহণ করুন। ১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেটে জিঙ্কের পরিমাণ থাকে ৩.৩ মিলিগ্রাম। 

বীজ জাতীয় শস্য : ছোলা, মটরশুঁটি, বিভিন্ন ডাল, বিন, গম ইত্যাদি জিঙ্কের ভালো উৎস। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এগুলি রোজ খান। 

মাংস : জিঙ্কের একটি প্রধান উৎস হল যেকোনও ধরনের মাংস। ১০০ গ্রাম খাসির মাংসে জিঙ্ক থাকে ৮.৫ মিলিগ্রাম এবং ৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে জিঙ্ক থাকে ২.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি-১২। তাই সপ্তাহে একদিন মাংস খেতে পারেন। তবে বেশি পরিমাণ খাবেন না, কারণ মাংসে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। 

ওটস্ : অনেকেই ব্রেকফাস্টের খাবার হিসেবে ওটস্ খান। এটি জিঙ্কের একটি অত্যন্ত ভালো উৎস। ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে তাই এবার ডায়েটে যুক্ত করুন ওটস্। পাশাপাশি এটি ফাইবার, বিটা-গ্লুকান, ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 

খোলসযুক্ত মাছ : জিঙ্কের সবচেয়ে ভালো উৎস হল খোলসযুক্ত মাছ বা শেলফিশ। শেলফিশ বলতে চিংড়ি, ঝিনুক এবং কাঁকড়ার মতো খোলসযুক্ত প্রাণীদের বোঝায়। পাশাপাশি, এগুলি কম ক্যালরিযুক্ত এবং ভিটামিন বি-১২ এ সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এসব খাদ্য খুবই সহায়ক। এগুলির মাত্র ৫০ গ্রামে জিঙ্ক থাকে ৮.৫ মিলিগ্রাম। 

মাশরুম : লো ক্যালোরি যুক্ত মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক। রোজকার ডায়েটে এই খাবারটি থাকলে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হতে পারে। ২১০ গ্রাম মাশরুমে ১.২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ভিটামিন-এ ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন ই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.