ফিডার দুধে ভয়াবহ শারীরিক ক্ষতি

461

জন্মের পরে শিশুর জন্য মায়ের দুধ অপরিহার্য। মায়ের শালদুধ থেকে শুরু করে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট। এ সময় অন্য খাবার খাওয়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই।তবে ৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশু অল্প অল্প করে বাড়তি খাবারে অভ্যাস করতে হবে। তবে তার শারীরিক বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে।

অনেক মা চাকরিজীবি হওয়াতে এছাড়া বুক দুধ খাওয়াতে শিশুর প্রতি অবহেলা করে থাকেন। তার বিকল্প হিসেবে বেছে নেন বোতল বা ফিডারের দুধ। কিন্তু তোলা দুধ শিশুর শরীরের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর।

চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ সারাক্ষণ বোতলের দুধে অভ্যস্ত করা। আসুন জেনে নেই ফিডারের দুধ শিশুর শরীরে কী কী ক্ষতি করছে।

রাবারের ঢাকনা

ফিডারের মুখে থাকা রাবারের ঢাকনা প্রায় সব শিশু কামড়ে ধরে থাকেন। যা শিশুর জন্য মারত্মক ক্ষতির কারণ। বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হলেও রাবারজাত দ্রব্য বেশিক্ষণ শিশুর মুখে না রাখাই শ্রেয় বলে মনে করে বিশেজ্ঞরা।

লিভার ও হজম প্রক্রিয়া

এক ব্ছর বয়সী শিশুদের শারীরক গঠনের জন্য প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। কিন্তু বোতলের দুধে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে তা শিশুর লিভার ও হজম প্রক্রিয়ায় ক্ষতি করছে।

সংক্রমণ

যে ফিডারে শিশু দুধ খেয়ে থাকে তা অবশ্যই গরম পানির দিয়ে চুলায় ফোটাতে হবে। পর হাওয়ায় শুকাতে হবে।যদি তা না করা হয় তবে শিশুর শরীরে সংক্রমণ আসতে পারে।

আসক্ত

প্লাস্টিকের বোতলে দুধ খাওয়ার শিশুর আসক্তিতে পরিণত হয়। ফিডারে দুধ খাওয়া সহজ ও আরামদায়ক হওয়ায় অনেক শিশুই একটা সময়ের পর বোতলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন কিছুতেই তাকে আর বোতলে করে দুধ খাওয়া ছাড়ানো যায় না। বোতলের সাহায্য ছাড়া ঘুমও আসে না তার।

মায়ের বুকের দুধ

শিশুর জন্য উত্তম হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.