ওজন নিয়ন্ত্রণে মরিচ!

345

মরিচ ঝাল হয় এর মধ্যে থাকা ক্যাপসিসিন নামক উপাদানের কারণে। আর এই একই উপাদান শরীরের মেটাবলিজমের গতি বাড়িয়ে সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বাল্টিমোরে বায়োফিজিক্যাল সোসাইটির ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।

এই গবেষণায় ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে, অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বিজাতীয় খাবার-দাবার খাওয়ানোর পরেও পরীক্ষাগারের নির্দিষ্ট ইঁদুরকে ক্যাপসিসিন খাওয়ানোর ফলে তাদের ওজন তেমন বাড়ে না। এ তথ্য ওবিস বা অতিরিক্ত ওজনবিশিষ্ট মানুষদের জন্য সুখবর হয়ে হতে পারে।

ইয়াওমিং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, মোটাসোটা মানুষের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রনে আনতে ক্যাপসিসিন খুবই কার্যকর হতে পারে। এ ছাড়াও ক্যাপসিসিনের প্রভাবে শরীরের শক্তি (ক্যালোরি) ক্ষয় হয় এবং তাপ উত্পন্ন হয়। এর ফলে সাদা চর্বি রূপান্তরিত হয় বাদামি চর্বিতে। শরীরে সাদা চর্বি শক্তি সঞ্চয় করে রাখে আর বাদামি চর্বি তাপ সৃষ্টি করে। খুব বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার ফলে মেটাবলিজমের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং ওবেসিটি দেখা দেয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাপসিসিন-এর এই গুণ।

এ পরিস্থিতিতে মরিচ বা ঝাল খাওয়াটা উপকারী হলেও এ বিষয়ে খুব সাবধান থাকতে হবে। যদি ভেবে থাকেন একটা টোস্ট বা ডিমের সঙ্গে অনেকগুলো মরিচ খেয়ে নিলেই কাজ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। এরও একটা নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। এই জন্যই গবেষকেরা ক্যাপসিসিন থেকে প্রাকৃতিক ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট তৈরি করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন যা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই নয়, স্বাস্থ্যের আরও নানা সমস্যার প্রতিকারে কাজে লাগে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.