বিমান ভ্রমণে এই ৩টি ভুল কখনোই করবেন না!

467

ঈদের সময়ে অনেকেই দেশের বাইরে বা অন্য শহরে যাওয়ার জন্য বিমানে ভ্রমণ করেন। কিন্তু বিমান ভ্রমণের কিছু আদব-কেতা রয়েছে যা না জানা থাকলে নিজের অজান্তেই অন্য যাত্রীদের বিরক্তির কারণ হতে পারেন আপনি। বিশেষ করে আপনার যদি অতীতে বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে এসব নিয়ম জেনে রাখা জরুরী।

ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেই নিপাট ভদ্রলোক হলেও ভ্রমণের সময়ে স্ট্রেস থেকে তারা এমন কিছু কাজ করে ফেলেন যা একেবারেই অনুচিত। এমনকি আচরণের এসব সমস্যা তারা খেয়ালও করেন না। যেমন জুতো খুলে রেখে দেওয়া, সিটে পা তুলে বসা, সিট পেছনের দিকে এতটাই হেলিয়ে বসা যে পেছনের যাত্রীর অসুবিধে হয়, মুখ না ঢেকে কাশা ইত্যাদি।  দেখে নিন, বিমান যাত্রার সময়ে এ ভুলগুলো আপনিও করছেন না তো?

১) বিমানের সিটের আর্মরেস্ট

বিমানে মাঝের সিটে যে ব্যক্তি বসেন, তাকেই আর্মরেস্ট ব্যবহার করতে দেওয়া উচিৎ। কারণ তিনি সবচেয়ে অস্বস্তিকর অবস্থানে বসেছেন। এর পাশাপাশি অনেক সময়ে আলোচনা করে আর্মরেস্ট শেয়ার করাও যেতে পারে। কিন্তু পাশের জনের কষ্ট হচ্ছে দেখেও আপনি জায়গা ছাড়ছেন না, এমনটা যেন না হয়। বিমানের যাত্রায় অনেকটাই কম সময় লাগে। এ সময়টা ভদ্রতা বজায় রাখুন।

লম্বা ফ্লাইটে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। ছবি: সংগৃহীত

২) বিমানের সিট পেছন দিকে হেলানো

যে বিমান যাত্রায় কিছুটা সময় বেশি লাগে, সে যাত্রায় অনেকেই সিটটাকে পেছনের দিকে হেলিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করেন।  আপনার সামনের যাত্রী যদি এমনভাবে সিট হেলিয়ে ফেলেন যে আপনার বসতে সমস্যা হচ্ছে, তাহলে তাদের সাথে চেঁচামেচি করার কিছু নেই। বিনীতভাবে তাকে জানান যে আপনার সমস্যা হচ্ছে এবং সিট কিছুটা উঠিয়ে নিলে তার সমস্যা হবে কী? তিনি যদি উল্টো রাগারাগি করেন তাহলে মেজাজ গরম করবেন না। প্লেনের ভেতরে ঝগড়াঝাঁটি করে লাভ নেই আসলে। যদি ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা এসে ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন তাহলে হয়তো আপনার একটু সুবিধা হবে। কিন্তু তাতেও যদি লাভ না হয়ে তাহলে নিজেকে বলুন, আর একটু পরেই আপনার ফ্লাইট শেষ হয়ে যাবে আর এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।

আপনি নিজে যদি ঘুমাতে চান তাহলে কী করবেন? বেশি সমস্যা না হলে সিট না হেলানোই ভালো। তবে আপনি অসুস্থ বা ক্লান্ত হয়ে থাকলে তা করতে পারে। আগে দেখে নিন আপনার পেছনে বসা যাত্রীর কোলে বাচ্চা বা ল্যাপটপ আছে কিনা। না থাকলে তাকে জানান যে আপনি সিটটা পেছনের দিকে কিছুটা হেলাবেন, তার কী সমস্যা হবে? তিনি যদি বলেন যে সমস্যা নেই, তাহলে সিট হেলিয়ে নিন। তবে একেবারে তার নড়াচড়ায় সমস্যা হয়, এতটা হেলাবেন না।

আপনার যাত্রা স্বস্তিকর করে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা। ছবি: সংগৃহীত

৩) ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের সাথে আচরণ

ফ্লাইটের শেষে কেবিন ক্রু এবং ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা যাত্রীদের ধন্যবাদ জানান।  যাত্রী হিসেবে কিন্তু তাকেও ধন্যবাদ জানানো উচিৎ আপনার। কারণ আপনার যাত্রা স্বস্তিকর করে তুলতে চেষ্টা করে গেছেন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা। তাদের কথার জবাবে কিছু না বলে নেমে গেলে তারা মুষড়ে পড়েন। আপনি যতই ক্লান্ত বা বিরক্ত থাকুন না কেন,  ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।

সূত্র: টাইম

Leave A Reply

Your email address will not be published.