রাজধানীতে মারধরের শিকার সাংবাদিকেরা
নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা শিক্ষার্থী আন্দোলনের অষ্টম দিন আজ। রাজধানীর ধানমন্ডিতে চলা আজকের আন্দোলনের তথ্য সংগ্রহ করার সময় অন্তত পাঁচজন সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা গেছে, তাদের ওপর হামলাকারীরা ক্যামেরা দেখলেই তেড়ে আসছিলো। তাদের মাথায় হেলমেট আর হাতে লাঠি, রড। কারও হাতে রামদা, কিরিচের মতো ধারালো দেশীয় অস্ত্র। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামা শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে পেটাচ্ছিলো তারা।
এসব হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের পেটানোর পাশাপাশি সাংবাদিক দেখলেই তাদের দিকে তেড়ে আসে। বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদের হাতে মার খেয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫জন সাংবাদিক। আজ রবিবার দুপুরের দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং ধানমন্ডিতে এ ঘটনা ঘটে।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকাতে মারধরের শিকার হন এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফটো সাংবাদিক এ এম আহাদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত, ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক পাঠশালার রাহাত করিম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্রী মাহমুদুজ্জামান অভি, চ্যানেল আইয়ের সামিয়া রহমান, বণিক বার্তার পলাশ সিকদার, বিডি মর্নিং’র আবু সুফিয়ান, জনকণ্ঠের জাওয়াদ হামলার শিকার হন। তাদের কেউ কেউ ল্যাব এইড হাসপাতালে, কেউ পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবুর দিকে হঠাৎ করে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে তেড়ে এলে তিনি মোবাইল ফোন দ্রুত ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন। তারা তাকে ছবি না তুলতে সাবধান করে দেয় ওই যুবকরা।
লাবু বলেন, একজন নারী চিকিৎসক রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোবাইল বের করে ছবি তুললে ওই যুবকেরা ফোনটি কেড়ে নিয়ে তাকে নাজেহাল করেন।