গুজব ও বিভ্রান্তি রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই : ড. হাছান মাহমুদ

337

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লা‌বের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ কামালের ৭০তম জন্মদিন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নও করেছেন। পাশাপাশি সমস্ত সরকারি সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, দল এবং দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা যেন ঐক্যমত পোষণ করি। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহায়তা করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘মিডিয়া হচ্ছে দেশের চতুর্থ অঙ্গ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশে দুষ্কৃতিকারীরা আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করেছে এবং সে হামলায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।অনেকে লাইভে এসেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন তা কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ করেনি। কয়েকটি খবরের কাগজ এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ সেই হামলা শিক্ষার্থীরা করেনি, করেছে শিক্ষার্থী ছদ্মবেশে বিএনপি জামায়াত। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকতে পারেনা। অথচ সেখানে গুলিও করা হয়েছে। তাই সকল গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব সঠিক ও বাস্তবধর্মী সংবাদ উপস্থাপন করার জন্য যাতে করে দেশ ও দেশের মানুষ সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিএনপি জামায়াত অনুপ্রবেশ করেছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার পর আমরা তাদের বারবার আহ্বান জানিয়েছি ঘরে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু বিএনপি জামায়াত এবং ১/১১ এর কুশীলবরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ঘরে ফিরতে দেয়নি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যারা হামলা চালিয়েছে তারা শিক্ষার্থী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা শিক্ষার্থী হতে পারেনা। আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি তারা কেউ শিক্ষার্থী নয়। স্কুলের হাজার হাজার ড্রেস বিক্রি হয়েছে। যারা বিক্রি করেছে তারাই বিস্মিত এতো ড্রেস কেনো বিক্রি হচ্ছে। নীলক্ষেতে হাজার হাজার নকল আইডি কার্ড বানিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে। তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত যে এই আন্দোলনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তা তার অডিও শুনলে বুঝা যায়। সেখানে তিনি তার দলের এক তরুণ ব্যারিস্টারকে নির্দেশ দিচ্ছেন কীভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো যায়। সুতরাং আমির খসরুর অডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ পাওয়ায় আপনারা জানতে পেরেছেন, মওদুদ আহমেদসহ আরও অনেকের অডিও আছে যা এখনও প্রকাশ পায়নি। প্রকাশিত হলে আপনারা শিগগির জানতে পারবেন।

জনগণকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত এবং ১/১১ কুশীলবরা মাঠে নেমেছে। তারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। কিছুদিন কোটা আন্দোলনকারীদের উপর ভর করার চেষ্টা করেছে এরপর কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের উপর তারা ভর করেছে। তাদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।’

এসময় ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ কামালের ৬৯তম জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ অলিম্পিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.