স্থগিত ৪টি সিরিজ নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করছে বিসিবি

236

স্পোর্টস ডেস্ক : গত এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ টেস্ট,৪ ওয়ানডে এবং ৪ টি-২০।  করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে স্থগিত হয়েছে এফটিপিতে থাকা বাংলাদেশের একটার পর একটা সিরিজ।

গত এপ্রিল এর মধ্যে জুলাই-আগস্টে শ্রীলংকায় পূর্ব নির্ধারিত ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে অক্টোবর-নভেম্বরে নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে। অন্য ৪টি সিরিজের সূচী এখনো নির্ধারিত হয়নি।

স্থগিত থাকা ওই ৪টি সিরিজের তিনটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, অন্যটি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। সে কারনেই আইসিসি’র এফপিটি নতুন করে বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছে বিসিবি। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন-‘ আমাদের ৪ টা সিরিজ স্থগিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। একটি টেস্ট বাকি আছে পাকিস্তানে। যেহেতু মাত্র একটি টেস্ট, তাই অল্প সময়ের একটা উইন্ডো দরকার হবে। এটা আমরা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলোচনা করে ঠিক করব। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথেও আমাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে। আগামী বছর মাঝামাঝি সময়ে আমরা সিরিজটি নিশ্চিত করতে পারব।  অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথেও আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে।’

যুক্তরাজ্যে গত মে মাসে আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অর্ন্তভুক্ত বলে এই সিরিজটি নিয়েও আশার আলো দেখছেন তিনি- ‘আয়ারল্যান্ডে ওয়ানডে টুর্নামেন্টের (আইসিসি ওয়ানডে লিগ) খেলা, সেক্ষেত্রে আইসিসির সময়সীমা বর্ধিত করার একটা পরিকল্পনা রয়েছে। সেই বর্ধিত সময়সীমার মধ্যেই আমরা আশা করছি যে হয়তো শেষ করতে পারব।’

 তবে গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে পূর্ব নির্ধারিত ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি স্থগিত হওয়ায় এই সিরিজটির ভবিষ্যত নিয়ে দুর্ভাবনায় আছেন বিসিবি সিইও- আমরা চেষ্টা করব অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি যে কোনো সুবিধাজনক সময়ে আয়োজন করতে। আমরা প্রস্তুত থাকলেই তো হবে না, অস্ট্রেলিয়ার মতো একটা বড় দলের ফাঁকা সময়ের ব্যাপারও আছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.