ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
আজ (২৫ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।
সভা শেষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তারা কেরানী বা অন্য সরকারি চাকরিজীবীদের তুলনায় অনেক বেশি আয় করলেও বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ করা হয় না। এজন্য তাদের সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কী ধরণের স্বীকৃতি দেওয়া যায় সেটি ভাবতে হবে।’
তরুণদের বিদেশি ভাষা শেখার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেন, শুধু বাংলা বা ইংরেজি জানলে হবে না। সঙ্গে ফ্রান্স, জার্মান এবং চাইনিজ ভাষা শিখতে হবে। তাহলে বেশি বেশি ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেতে সুবিধা হবে।’
একনেকে আজ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিপিডিসির আওতাধীন গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পসহ মোট পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আজকের একনেক সভায় চারটি মন্ত্রণালয়ের পাঁচ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে, ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বিদেশি ঋণ বা অনুদান এবং ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা বিদ্যুত বিতরণ সংস্থার (ডিপিডিসি) নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাঁচটির মধ্যে একটি নতুন প্রকল্প।
ডিপিডিসি প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ১ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রকল্পটি গ্রাহকদের থিসিস্টেমের উন্নীতকরণের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
প্রদত্ত ফ্যাক্টশিট অনুসারে, ডিপিডিসি ২০২৩ সালের জুনে উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুত ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমে দুটি নতুন ১৩২/৩৩ কেভি (৩৩ / ১১ কেভিসহ) উপকেন্দ্র নির্মাণ, চারটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র, তিনটি বিদ্যমান উপকেন্দ্রের সংস্কার ও বৃদ্ধি, জিআইএস উপকেন্দ্র হিসেবে পাঁচটি ৩৩ কেভি এআইএস উপকেন্দ্র তৈরি, ডিপিডিসি অঞ্চলের অধীনে পাইলট ভিত্তিতে গ্রিড ব্যবস্থার স্মার্ট প্রবর্তন, ১১টি গাড়ি কেনা এবং ১৫টি উপকেন্দ্র ভবন নির্মাণ।
নতুন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫ লাখ নতুন গ্রাহক বিদ্যুত সংযোগ পাবে।