পেনাল্টি গোলে সেমিফাইনালে ম্যান ইউ

254

স্পোর্টস ডেস্ক : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সদ্যসমাপ্ত আসরে শেষদিকে দারুণ ফুটবল খেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিশেষ করে মৌসুম শুরুর হতাশা কাটিয়ে তারা লিগ শেষ করেছে তিন নম্বরে থেকে, পেয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট। যেখানে তারা চলতি মৌসুমে খেলছে উয়েফা ইউরোপা লিগে।

তবে এই ইউরোপা লিগেও দুর্দান্ত খেলছে ম্যান ইউ। নিজেদের ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পৌঁছে গেছে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে। সোমবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে কোপেনহেগেনকে একমাত্র গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে তারা।

সাধারণত নকআউট পর্বের লড়াই দুই লেগে হলেও, করোনাভাইরাসের কারণে এবার ইউরোপা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাকি ম্যাচগুলো খেলা হচ্ছে এক লেগেই। যে কারণে কোপেনহেগের সামনে আর সুযোগ থাকছে না ঘুরে দাঁড়ানোর। শেষ আটেই থেমে গেছে তাদের যাত্রা।

জার্মানির রেইনএনার্জিস্তাদিয়নে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু কাজের কাজ গোল তারা পায়নি। যার ফলে পুরো ৯০ মিনিট খেলা থাকে গোলশূন্য। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিট সময়ে।

ম্যান ইউর একের পর এক আক্রমণের বিপরীতে জবাবই ছিল না কোপেনহেগের সামনে। পুরো ১২০ মিনিটের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ১৪টি আক্রমণ কোপেনহেগেনের গোলমুখে করেছিল ম্যান ইউ। কিন্তু গোল হয়েছে মাত্র একটি, সেটিও কি-না পেনাল্টি থেকে। অন্যদিকে কোপেনহেগের একটি শটও নিতে পারেনি গোলমুখে।

ম্যাচের অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটের প্রথমার্ধের পঞ্চম মিনিটের মাথায় কোপেনহেগের রক্ষণে হানা দেন অ্যান্থনি মার্শাল। তার জোরালো শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জনসন। তবে ফিরতি বলটি পান মার্শালই। কিন্তু তাকে পেছন থেকে ফেলে দেন বি জিল্যান্ড। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

গোলের সহজতম সুযোগ পেয়ে সেটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি ম্যান ইউর পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেস। তবে ঠিক দিকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন ম্যাচে দারুণ সব সেভ দেয়া গোলরক্ষক জনসন। তার হাতের পাশ দিয়েই বল জড়িয়ে যায় জালে। এটিই হয়ে থাকে ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.