নিউইয়র্কে করোনায় মৃত্যুবরণকারির স্বজনদের নগদ অর্থ দিচ্ছেন দুই প্রবাসী
নিউইয়র্ক থেকে : করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণকারির স্বজনকে নগদ ৫০০ ডলার করে প্রদানের ঘোষণা দিলো ‘জাকির এইচ চৌধুরী ফাউন্ডেশন’। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ২৩২ বাংলাদেশীর প্রাণ ঝরেছে এ যাবত। এরমধ্যে যাদের স্বজনেরা খুবই কষ্টে রয়েছেন তেমন দেড় শতাধিক পরিবারের একটি তালিকা করার কথা জানালেন এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইয়র্ক হোল্ডিং রিয়েল্টি এলএলসি’র কর্ণধার জাকির এইচ চৌধুরী। জাকির চৌধুরী জানালেন, করোনা মহামারির সময়ে অর্থাৎ নিউইয়র্ক সিটিতে লকডাউন থাকালিন বেশ কিছু দু:স্থ প্রবাসীকে নগদ অর্থ ছাড়াও ঈদের আগের দিন নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবি দিয়েছি।
বাংলাদেশেও পরিচিতজনদের জন্যে অর্থ পাঠিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী কর্তৃক প্রতি পরিবারকে ৫০০ ডলার করে প্রদানের কর্মসূচি আসছে ঈদের আগেই শুরু করা হবে বলেও উল্লেখ করলেন। এজন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে করোনায় মৃত্যুর সনদসহ ৭১৮-২৫৫-১৫৫৫ অথবা ৯১৭-৪০০-৩৮৮০ নম্বরে যোগাযোগ করে বা ইয়র্ক হোল্ডিং রিয়েল্টি এলএলসি (৭০-৩২ ব্রডওয়ে, জ্যাকসন হাইটস,এনওয়াই-১১৩৭২) অফিসে মৃত্যু সনদ পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রস্থ চৌদ্দগ্রাম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কাজী এনাম হকও ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত প্রবাসী এবং কুমিল্লা ও লালমনিরহাটে বেশ কিছু দু:স্থ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ, খাদ্য-সামগ্রি বিতরণ করেছেন। নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নির্মাণ ব্যবসায়ী কাজী এনাম হকের প্রতিষ্ঠিত ‘কাজী এনাম ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে বেশ কয়েক দফায় করোনা-ভিকটিমদের মাঝে ত্রাণ-সামগ্রির প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
এজন্যে ঢাক-ঢোল পেটানোর প্রয়োজন বোধ করেননি বলে এ সংবাদদাতাকে জানিয়ে স্বল্পভাষী কাজী এনাম বললেন, মানুষের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গিকারেই প্রতিষ্ঠা করেছি ফাউন্ডেশন। যতদিন আমার সামর্থ্য থাকবে, ততদিনই অসহায়-দ:স্থ মানুষের পাশে থাকবো। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিপর্যস্ত প্রবাসীরাও পাবেন নগদ অর্থ সহায়তা। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটি, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, নোয়াখালী সোসাইটি, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, ফোবানা, জেবিবিএ, মজুমদার ফাউন্ডেশন, পিপলএনটেক সহ বেশ কটি সংগঠনের ব্যানারে করোনায় ক্ষত-বিক্ষত প্রবাসীদের নগদ অর্থ ও খাদ্য-সামগ্রি দেয়া হয়েছে। সে সবের বাইরে ব্যক্তি উদ্যোগে জাকির ও কাজী হকের জনহিতকর এসব তৎপরতাও প্রশংসিত হচ্ছে কমিউনিটিতে।