চালকের আসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

229

স্পোর্টস ডেস্ক: চারদিনের আধিপত্য শেষে জেসন হোল্ডার বাহিনী বেন স্টোকসের ইংলিশ লায়নদের কোনঠাসা করে ফেলেছে। শেষ দিনে স্বাগতিক ব্যাটিংয়ের লেজ থেকে আরো কিছু রান যোগ করে ২’শ রানের লিড কি নিতে পারবে ইংল্যান্ড ? 

চতুর্থ দিন শেষে ১৭০ রানের লিডটাকে যে যথেস্ট মনে হচ্ছে না তাদের। যদিও লাস্যময়ী রমণীর  মতো ছলনাময়ী ক্রিকেটে নিশিচত করে আগাম কিছু বলা দুরূহ। তারপরও ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে বলতে পারি, সাউদাম্পটন টেস্টে জয়টা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেকটা হাতের মুঠোয়।

খেলা শেষে হয়তো ফিরে দেখলে মনে হবে টস জয় করে বেন স্টোকসের বোলিং উপযোগী পরিবেশে ব্যাটিং বেছে নেয়া বুমেরাং হয়েছে।  আকাশে মেঘ ছিল , গতির সাথে সুইং মিশিয়ে চমৎকার বোলিং করেছে হোল্ডার গ্যাব্রিয়েল। ২০৪ রানে গুটিয়ে পরে প্রথমেই পিছিয়ে গাছে ইংল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গোটা দল নিজেদের প্রয়োগ করে ৩১৮ রান করে ম্যাচের ব্যাবধান গড়ে দিয়েছে। 

১১৪ রান পিছিয়ে  থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিরুদ্ধে যে ধরণের ব্যাটিং দরকার, ইংল্যান্ডের বর্তমান দল তা করতে পারেনি।  বার্নস (৪২) , শিবলে ( ৫০)  , ক্রাউলি (৭৬)  , স্টোকস (৪৬) উইকেটে থিতু হয়েও গ্রিন্ডিং গ্যাফটিং করে দলকে স্বস্তিদায়ক স্থানে তুলে নিতে পারেননি। এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের  নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ভাবলেশহীন ফিল্ডিংয়ের তারিফ করতে হয়। ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে সময় কখনো ওদেরকে বিচলিত মনে হয় নি। 

একসময় ইংল্যান্ডের স্কোর যখন২৪৮/৩, তখনো না।   ৩৫ রানের ব্যাবধানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটার মোড় নাটকীয় ভাবে ঘুরিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব হোল্ডার বাহিনীকে দিতে হবে।  নিঃসংকোচে বলবো টেস্ট ম্যাচটিতে ওয়েট ইন্ডিজ এখন চালকের ভূমিকায়।  চতুর্থ দিন শেষে ২৮৪/৮ করে ইংল্যান্ড ১৭০ রানে এগিয়ে।  ব্যাটিং করছে আর্চের এবং উড।  আর আছে অ্যান্ডার্সন। নাইন, টেন এন্ড জ্যাক কত করবে আর ? 

নিতান্ত নাটকীয় কিছু না ঘটলে জয় ওদের হাতের মুঠোয়।  কিন্তু আবারো বলছি খেলাটার নাম ক্রিকেট।  অঘটন ঘটনা পটিয়সী নারীর মতো ক্রিকেট অনেক কিছুই ঘটাতে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.