জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা, ম্যার্কেলের তীব্র নিন্দা

302

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শনিবার দিবাগত রাতে শুরু হয়ে রবিবার ভোর পর্যন্ত জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে কয়েকশ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশের ওপর শারীরিক হামলা ছাড়াও কয়েকটি দোকানপাট ভেঙে ফেলেন তারা। খবর ডয়চে ভেলে’র।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷

স্টুটগার্ট পুলিশের ডেপুটি প্রধান টমাস বেরগার জানান, মাদক ব্যবহার করার সন্দেহে পুলিশ ১৭ বছর বয়সি এক তরুণের তল্লাশি নিতে চাইলে ঘটনার সূত্রপাত হয়৷ এরপরই শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকা শ্লসপ্লাৎজে তরুণদের ভিড় জমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে তারা৷ এইসময় পুলিশের দিকে বোতলও ছোড়া হয়৷

সেখান থেকেই ঘটনা বাড়তে বাড়তে প্রবল ভাঙচুরের আকার ধারণ করলে ১৯ পুলিশকর্মী আহত হন৷ গ্রেপ্তার করা হয় ২৪ জনকে৷ ঘটনার তুঙ্গে প্রায় ৫০০ জন মিলে পুলিশকর্মীদের প্রতি তাদের ক্ষোভ দেখাতে পথে নামেন৷

এবিষয়ে সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট বলেন, ‘‘যারাই এই কাজ করেছে, তারা আসলে স্টুটগার্ট শহরের বিপক্ষে কাজ করেছে৷ তারা যাদের সাথে বসবাস করেন, যারা তাদের সুরক্ষা দেন, তাদের ওপরেই এই আক্রমণ৷”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার এই সংঘর্ষকে আইনশৃঙ্খলার জন্য চিন্তার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আক্রমণ ও অপমান ছাড়াও এটা চরম অপমানজনক আচরণ, যা শারীরিক আঘাতের মতোই বেদনাদায়ক৷” প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারেরও একই মত৷

বাড়ছে পুলিশের প্রতি বিদ্বেষ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি আলোচিত একটি ঘটনার পর থেকে জার্মানিতেও আলোচিত হতে শুরু করেছে পুলিশি সহিংসতা ও তাদের কাজকর্মে বর্ণবৈষম্যের প্রতিফলন৷ কিছু দিন আগে স্টুটগার্টের একটি বহুতল ভবনে কোয়ারান্টিন বিষয়ক বিধিনিষেধ আরোপ করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ জনের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী৷

পুলিশকর্মীদের সাথে জরুরি পরিষেবায় কর্মরত অন্যান্য কর্মীরাও মানুষের মধ্যে বাড়তে থাকা বিরূপ মনোভাবের কথা জানাচ্ছেন৷

এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার বলেন, ‘‘যারাই পুলিশের ওপর আক্রমণ করবে, পুলিশকর্মীদের প্রতি , তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে লড়তে হবে৷”

Leave A Reply

Your email address will not be published.