বাজারে আসছে করোনার যে ওষুধ, দাম মাত্র ১০৩ টাকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মুম্বাইয়ের গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালসের হাত ধরে বাজারজাত হচ্ছে করোনা চিকিৎসার ওষুধ ফ্যাবি-ফ্লু। এরই মধ্যে ওষুধ তৈরি ও বিক্রির ছাড়পত্রও দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। সাধারণত মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের করোনা রোগীদের জন্যই এই ওষুধ ব্যবহৃত হবে। ডিসিজিআই-এর দাবি অনুযায়ী, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটির কার্যকারিতা ৮৮ শতাংশ।
কো-মর্বিডিটির রোগীদের বেলাতেও এই ওষুধ দারুণ কার্যকর বলে দাবি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারি সংস্থা গ্লেনমার্ক। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজির অধ্যাপক ও গবেষক তন্ময় বিশ্বাস বলছেন এখনো নিশ্চিত হওয়ার কিছু নেই, কোন ড্রাগের চার দফা ট্রায়াল চলে। এখন পর্যন্ত ফ্যাবি ফ্লুর তিনদফা হয়েছে। এর আগে অনেক ওষুধ তিন দফায় ভালো কাজ করেছে কিন্তু বাজারে আসার পর নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
তবে এই ফ্যাবি ফ্লু-এর তিন দফা ট্রায়ালের ফল তুলনামূলক ভাবে ভাল। এই গ্রুপের ওষুধ এর আগে ফ্লুয়ের মাহামারির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতে ভাল কাজও দিয়েছিল। এই ওষুধটিও ভাইরাসের আরএনএ-কে প্রতিরূপ তৈরিতে বাধা দেয়। সুতরাং ফ্লু ভাইরাসকে দমন করার সব গুণই এতে রয়েছে। তবে ওষুধ বাজারে আসার পর বোঝা যাবে তা কতটা ফলদায়ক।
আলিপুরদুয়ার জেলায় উপ স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীও একই কথা বলছেন। তাঁর মতে, এই ওষুধ নিয়ে এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো কিছুই হয়নি। তিনটি ট্রায়ালে ৮৮ লশতাংশ কাজ করেছে মানেই যে ওষুধ হাতে এসে গেল এমনটা ভাবা অবান্তর, বরং পোস্ট মার্কেটিং ট্রায়ালই আসল। বাজারীকরণের পর এই ওষুধ সারা পৃথিবীতে সমান কার্যকর কি না, আবহাওয়া ভেদে এর কার্যকারিতায় পরিবর্তন ঘটে কি না, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন এমন অনেক কিছু বিষয় দেখার আছে।
প্রথম দিনে ১৮০০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার, তার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত ৮০০ মিলিগ্রাম দিনে দু’বার— এই ভাবে ওষুধটি গ্রহন করেত হবে। আপাতত ২০০ মিলিগ্রামের একটি ‘ফ্যাবি-ফ্লু’ ট্যাবলেটের দাম পড়বে ১০৩ টাকা। এমন ৩৪টি ট্যাবলেটের একটি পাতার দাম হবে ৩৫০০ টাকা
তবে গ্লেনমার্ক বলছে, বাজারীকরণের পর সাফল্য মিললে এই দাম কমানোর কথাও ভাবা হবে। সংস্থার এক কর্মকর্তার দাবি, , বর্তমান পরিস্থিতিতে পদ্ধতিগত বিষয়গুলি দ্রুত মিটিয়েই ওষুধটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর আগে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণিত। এখনও যে ডোজ় দেওয়া হয়েছে তা নিরাপদ।