মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ফ্লয়েড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুন) টেক্সাসের হিউস্টনে শেষকৃত্যে তার পরিবারের লোকজন ছাড়াও কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনও অবশ্য আমেরিকার বহু জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা গত দু’সপ্তাহ ধরে চলছে। এসব বিক্ষোভে বাংলাদেশিরাও সংহতি প্রকাশ করেন। বিক্ষোভ থেকে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ বাহিনী ভেঙে দেয়ারও দাবি তোলা হয়।
জি নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফ্লয়েডকে শেষ বিদায় জানাতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। বেঁচে থাকতে যাকে সম্মান দেওয়া হল না, মৃত্যুর পর তাকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হয় কবরস্থানে। এক নজর তাকে দেখার জন্য অনেকেই ভিড় জমান গির্জার বাইরে।
এর আগে গত ২৫ মে মিনেপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ অফিসার গলায় হাঁটু চেপে শ্বাস রোধ করে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন আরও তিন পুলিশ সদস্য। মৃত্যুর সময় ফ্লয়েড বার বার বলছিলেন- “আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।”
এ সময় একজন ঘটনার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিলে মুহূর্তেই তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার দৃশ্য ধরা পড়ে। এ ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ আনা হয় পুলিশ কর্মকতা ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে। আর বাকিদের বিরুদ্ধে হত্যার সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। এমন নির্মম ঘটনায় মিনিয়াপোলিসের পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ভেঙে নতুন করে সাজানোর ঘোষণা আসে।
অপরদিকে, ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের আগুন। এই প্রতিবাদ মিছিল গণ্ডি ছাড়িয়ে কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়েছে।
এসবের মধ্যেই আমেরিকায় করোনার থাবা কিন্তু চওড়া হচ্ছে। নতুন করে মারা গেছেন প্রায় এগারশো মানুষ। আমেরিকায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। মৃত্যু হয়েছে মোট এক লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।