২২ গজে রুবেল-কোহলি দ্বন্দ্বের আসল রহস্য ফাঁস
স্পোর্টস ডেস্ক : ২২ গজের মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এবং বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেনের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বিষয়টি অনেক পুরোনো। বেশ কয়েকবার তাদের ঠোকাঠুকি দেখেছে দর্শকরা। এবার এক যুগ ধরে চলমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খোলাসা করলেন বাংলাদেশ তারকা পেসার রুবেল হোসেন।
ভারতের ব্যাটিং মায়েস্ত্রো বিরাট কোহলির সঙ্গে তার মাঠের লড়াইয়ের সূত্রপাত হয় ২০০৮ সালে। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক লাইভে সতীর্থ ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে কথোপকথনে এ রহস্য উন্মোচন করেন তিনি।
ওই বছর যুব বিশ্বকাপে একে অপরের মুখোমুখি হন রুবেল-কোহলি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ চলাকালীন বাগবিতণ্ডয়ায় জড়ান তারা। এরপর থেকেই ময়দানে দুজনের মধ্যে চলে অন্যরকম দ্বৈরথ।
মাঠে স্লেজিংয়ের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে সুপরিচিত কোহলি। যুব বিশ্বকাপ থেকেই এটা করে আসছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জেতে ভারত।
রুবেল বলেন, কোহলিকে তখন থেকেই এমন আগ্রাসী মনোভাবে দেখে আসছি আমি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি স্লেজিং করেন তিনিই। তার সঙ্গে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি। ওই সময় থেকেই ওর সঙ্গে আমার একটু দ্বন্দ্ব লেগে আছে। সেময় অনেক বেশি স্লেজিং করতো সে। জাতীয় দলে আসার পর এখন হয়তো একটু কমেছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ ছিল। তাতে প্রচণ্ড পরিমাণে স্লেজিং করেন কোহলি। আমাদের যে ব্যাটিং করতে নামে, তাকেই উল্টা-পাল্টা কথা বলে। তবে তার সঙ্গে আমার লেগে যায়। বাজে একটা অঘটনও ঘটে।
টাইগারদের ডানহাতি পেসার বলেন, কোহলিকে এক ম্যাচে আউট করার পর, বাজে কথা বলে বসি। ওই সময় সে আমার দিকে ব্যাট উল্টো করে ধরে, গালি দেয় এবং আমার দিকে আসে। আমিও তার দিকে তেড়ে যাই। এটা যুব দলের কথা। এরপর আম্পায়ার এসে বিষয়টার সমাধান করেন। জাতীয় দলের খেলাতেও ওর সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিশ্বকাপে সেটা দেখেছেন আপনারা।
২০০৮ সালের পর ২০১১ বিশ্বকাপে কোহলির মোকাবেলা করেন রুবেল। সেবার বিশ্বমঞ্চে অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন কোহলি। হার না মানা ১০০ রান করার পথে রুবেলের বিপক্ষে ১৫ বল খেলে ১৭ রান নেন তিনি।
২০১৪ এশিয়া কাপে আবার মুখোমুখি হন কোহলি-রুবেল। এবার ১২২ বলে ১৩৬ রানের অনন্য ইনিংস খেলেন কোহলি। অবশ্য এরপর রুবেলের বলেই আউট হন তিনি। পরের বছর বিশ্বকাপে ৩ রান করেই তার বলে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টাইগার পেসারের বল খেলতে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেছে তাকে।