বাড়ি ও এপার্টমেন্ট ভবনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

313

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও পেশার জন্য কিছু কারিগরি নির্দেশনা প্রদান করেছে। এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়।

বাড়ি ও এপার্টমেন্ট ভবনের জন্য দেয়া নির্দেশনাগুলো হলো :

১. বাড়িতে থার্মোমিটার, মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণ করুন।

২. পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে নিরীক্ষণ করুন। প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যায় তাপমাত্রা পরিমাপ করা ভালো।

৩. পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জন্য জানালা ২০-৩০ মিনিটের জন্য দিনে ২-৩ বার খুলে দিয়ে বাড়ির অভ্যন্তরের বায়ু চলাচল উন্নত করুন।

৪. জীবাণুনাশক দিয়ে বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।

৫. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি তোয়ালে সকলে মিলে ব্যবহার করবেন না। ঘন ঘন কাপড় এবং লেপ-তোষক রোদে দিন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যত্রতত্র থুথু ফেলবেন না। হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুইয়ের ভাঁজে ‍দিন।

৬. সঠিক পুষ্টি জোরদার করুন। পর্যাপ্ত ঘুমান। পরিমিত ব্যায়াম করুন। বিজ্ঞানভিত্তিক পুষ্টিকর খাবার খান এবং ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) বৃদ্ধি করুন।

৭. বাইরে থেকে ফিরে এবং হাঁচি-কাশি দেয়ার পর হাত সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন অথবা দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।

৮. বন্য প্রাণি খাওয়া বা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। হাঁস-মুরগি ও ডিম খাওয়ার আগে সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন।

৯. বেড়াতে যাওয়া, দাওয়াত ও আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

১০. যদি অসুস্থ থাকেন তবে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভিড়ের জায়গায় যাবেন না এবং বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই মাস্ক পরবেন।

১১. জনাকীর্ণ এলাকায় যাতায়াত বা অন্যান্য লোকের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় মাস্ক পরিধান করুন।

১২. আপনি যদি মাঝারি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে থাকেন তবে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সাথে থাকার সময় পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্তকরণের দিকে মনোযোগ দিন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন এবং মাস্ক পরিধান করুন।

১৩. এপার্টমেন্ট ভবনে বসবাসকারীগণ বাড়তি সতর্ককতা হিসেবে এপার্টমেন্টের নিরাপত্তারক্ষী এবং কেয়ারটেকারদের এসব বিষয়ে নজর দিতে বলুন :

  • বারংবার সংস্পর্শে আসা দরজার হাতল এবং অন্যান্য বহুল ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ যেমন লিফট ও কমন টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • বাইরের অতিথি ও অন্যান্য মেইনটেনেন্স কর্মীকে আসার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করতে হবে।
  • বাইরে থেকে অতিথি বা যেই আসুক তাদের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ও আসার তারিখ লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
  • অতিথিদের বসার স্থানের আসবাবপত্র ও বাসন-কোসন প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • লবি ও লিফটের প্রবেশপথ, ফ্রন্ট ডেস্ক এবং অন্যান্য খোলা জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং সময়মতো ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.