করোনার জন্য বিশেষ হাসপাতাল বানাতে অর্থের সংকট হবে না: অর্থমন্ত্রী

319

ঢাকা: করোনা-সংকট মোকাবিলায় সরকারের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজন অনুযায়ী যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ চাইবে, আমরা তা দিতে প্রস্তুত আছি। বিশেষ কোনো হাসপাতাল বানাতে চাইলেও অর্থের সংকট হবে না। অর্থায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে তার দপ্তরে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এদিকে উন্নয়ন কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের জন্য বিধিবিধান কঠোর করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন থাকবে না, তারা কোনো কাজ পাবেন না। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সময় অন্য সব কাগজের সঙ্গে সর্বশেষ অর্থবছরের আয়কর রিটার্নও জমা দিতে হবে। যারা দেবে না, তারা কার্যাদেশ পাবে না।

এর আগে ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সচেতনতা তৈরিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই অর্থের মধ্যে ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চিকিৎসা ও শল্যচিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, এক কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা জনসচেতনতায় প্রকাশনা কাজে এবং দুই কোটি ৫০ হাজার টাকা কেমিক্যাল রি-এজেন্ট খাতে ব্যয় করা হবে। অর্থ ব্যয়ে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এর বাইরে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিরোধ ছাড়া এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখেন আর সতর্ক হয়ে চলেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে রয়েছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে অনেকেই। আমাদের কাজ হবে যাতে কম সংখ্যক লোক আক্রান্ত হয়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। মুস্তফা কামাল জানান, এতদিন আমাদের এ রোগ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ছিল না। এখন অভিজ্ঞতা হয়েছে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একসঙ্গে কাজ করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করলেই হবে না, সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সারা বিশ্বের জন্য পাঁচ হাজার কোটি ডলার (৫০ বিলিয়ন) অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ এ তহবিল থেকে অর্থ পাবে। শুধু আইএমএফ নয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্যান্য দাতা সংস্থাও সহায়তা দেবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.