খোকার দেশের মাটিতে ফেরা নিয়ে যা জানালেন ছেলে ইশরাক হোসেন

289

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা গুরুতর অসুস্থ। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার সুস্থ হওয়ার আশা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছেন ডাক্তাররা। বর্তমানে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হলেও ক্যান্সারের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে চিকিৎসকরা।

সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের বরাত দিয়ে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার আগে দেশে আসবে কিনা জানতে চাইলে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বন্দী হয়ে আছেন। দেশে যেয়ে কি করব? নেত্রীর সাথে তো দেখা হবে না। তার জন্য কিছু করতেও পারবো না।

সূত্রটি আরও জানায়, সাবেক মেয়র দেশের মাটিতে ফিরে আসতে চান। জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে শায়িত হওয়ার কথা পরিবারের কাছে জানিয়ে তিনি বলেছেন এটাই তার শেষ ইচ্ছা।

resize (1)
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন সাদেক হোসেন খোকা

সাদেক হোসেন খোকাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে তার পরিবার। শুক্রবার (১ নভেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন জানানো হয়।

পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার ব্যাপারে দূতাবাসের কিছু করণীয় নেই উল্লেখ করে তারা জানান, পাসপোর্ট ফেরত দেয়া বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে খোকার বাংলাদেশ যেতে ট্রাভেল ভিসার ব্যাপারে দূতাবাস সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

গত ১৮ অক্টোবর সকালে খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়েন ক্যাটারিং ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ২৮ অক্টোবর তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর খবরও চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। তবে তা গুজব ছাড়া কিছুই নয় বলে জানিয়েছে পরিবার।

২০১৪ সালের ১৪ মে মাসে সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দেশে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা হয়। এ সব মালার কয়েকটিতে সাজাও দেয় আদালত।

সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্ক আসার পর তার স্ত্রী ইসমত আরার পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার উপক্রম হলে বিগত ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য কনস্যুলেটের নির্ধারিত ফি জমা দেয়া হয় (রিসিট নং ৩৯৮৩৫৩৮, বুক নং ০৩৯৮৩৬)।

ইসমত আরার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নং এসি ১২৫০৯৬৯। অনুরূপভাবে সাদেক হোসেন খোকার পাসপোর্টও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার উপক্রম হলে বিগত একই বছরের ১৩ এপ্রিল পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য কনস্যুলেটের নির্ধারিত ফি জমা দেয়া হয় (রিসিট নং ৪২৪৯৩৩০, বুক নং ০৪২৪৯৪)। আর সাদেক হোসেন খোকার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নং এসি৬৮৩২৩৯৩। কিন্তু কনস্যুলেট থেকে তাদের পাসপোর্ট আর ফেরত দেয়া হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.