মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করা খোকার পাসপোর্ট প্রদানে যা জানালো দূতাবাস
নিউজ ডেস্ক: নিউইয়র্কের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে তাকে। ভালো কোনো সংবাদ দিতে পারবেন, এমন আশ্বাস দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। এমন অবস্থায় সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ইসমত আরা তাকিয়ে আছেন নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের দিকে। কারণ খোকা এবং তার নিজের পাসপোর্ট নেই। খোকার শেষ ইচ্ছে তাকে যেনো বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসমত আরা গতকাল (১ নভেম্বর) নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বরাবর লেখা চিঠিতে মানবিক বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে তাদের দুজনের জন্য আবেদনকৃত পাসপোর্ট ইস্যুর অনুরোধ জানিয়েছেন।
আজ (২ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইসরাক হোসেন জানিয়েছেন, তিনি আজ তার মায়ের লেখা আবেদনপত্র নিয়ে দূতাবাসে গিয়েছিলেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমাকে দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে যে- পাসপোর্টের আবেদনের ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই। কিন্তু আমরা যদি ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য আবেদন করি সেক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করবেন।”
ইসরাক জানান যে, ২০১৭ সালে তার বাবা-মায়ের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ কনস্যুলেটে তাদের পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো সদুত্তর পাননি।
ইসরাক হোসেন আরও বলেছেন, “পাসপোর্ট ইস্যু করতে সমস্যা কোথায়? একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। আমি আশা করবো যে- বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সরকার বিবেচনা করে দেখবেন।”
টেলিফোনে ইশরাক হোসেন বলেন, “আমার বাবা সাদেক হোসেন খোকা মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি। সরকারের কাছে আবারও আবেদন করছি, আমাদের বিষয়টি, আমার বাবা-মায়ের বিষয়টি একটু সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখুন। আমার বাবা-মায়ের পাসপোর্ট ইস্যু করার আন্তরিক উদ্যোগ নিন। যাতে আমরা বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে পারি। আমরা সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করছি। এছাড়া আর কিছু তো আমাদের বলার নেই।’’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মে মাসে ক্যানসার চিকিৎসার উদ্দেশে ভ্রমণ ভিসায় সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা।
সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন