রিকন্ডিশনড গাড়ির ব্যবসায় ধস, রাজস্ব আদায়ে হোঁচট

330

ঢাকা: শুল্কহারে বৈষম্যের কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন গাড়ির চেয়ে পুরোনো গাড়ির শুল্ককর বেশি হয়ে পড়ে। এতে গত অর্থবছর রিকন্ডিশনড আমদানি উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। এতে রিকন্ডিশনড গাড়ির ব্যবসায় ধস নেমেছে একইসাথে এটি রাজস্ব আদায়ে দারুণ হোঁচটও বটে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১ মাসেই রিকন্ডিশনড গাড়ির আমদানি কমেছে। এর মধ্যে জুনে সবচেয়ে বেশি আমদানি কমেছে। শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এপ্রিলে আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় আমদানি বেড়েছে।

রিকন্ডিশনড গাড়ির ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন গাড়ির তুলনায় রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক সুবিধা কমানো হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে। এর প্রভাবে গত অর্থবছর আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বা ৪৬ শতাংশ।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এ খাতে আমদানি কয়েক গুণ কমে যাওয়ায় রিকন্ডিশনড গাড়ি থেকে সরকারের শুল্ককর আদায়ও কমে গেছে। এ কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষামাত্রায় হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিকলস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর দেশে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি হয়েছিল ২৩ হাজার ৭৫টি। এতে সে অর্থবছর এ খাত থেকে সরকারের শুল্ককর আদায় হয় দুই হাজার ৬৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছর রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি কমে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫০২টি। এতে রাজস্ব আদায় কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৪৫৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছর রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি থেকে রাজস্ব আদায় কমেছে এক হাজার ১৯৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ৪৫ শতাংশ।

জানতে চাইলে রিকন্ডিশনড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘মূলত শুল্কহারে বৈষম্যের কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন গাড়ির চেয়ে পুরোনো গাড়ির শুল্ককর বেশি হয়ে পড়ে। এতে গত অর্থবছর রিকন্ডিশনড আমদানি কমে গেছে। গত অর্থবছরে পুরোনো গাড়ি আমদানিতে শুল্ককরে যে সুবিধা ছিল, তা সবচেয়ে বেশি কমিয়ে আনা হয়। এছাড়া গাড়ি আমদানিতে বারবার নীতি পরিবর্তনের প্রভাবে ব্যবসায়ীরাও আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। গাড়ি বিক্রি কম হওয়াই আমদানি কমে গেছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.