রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

277

স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হেরে গেছে সরফরাজ বাহিনী। পাকিস্তানের ইনিংসটা যেন আশা-নিরাশার দোলাচলে দোলছিল বেশিরভাগ সময়। শুরুর দিকে পাল্লাটা পাকিস্তানের দিকেই ঝুঁকে ছিল। মাঝে একটা ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় সেই আশা।

টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অ্যারন ফিঞ্চের দলের এটি তৃতীয় জয়।

ওয়ার্নারের ১০৭ ও ফিঞ্চের ৮২ রানের ইনিংসে অনেক বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগানো অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানে থামান আমির। বাঁহাতি এই পেসার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নেন পাঁচ উইকেট।  
 
ইমাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ানো পাকিস্তান খেই হারায় মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায়। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করেন সরফরাজ। তবে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্কের দারুণ বোলিংয়ে ২৬৬ রানে পাকিস্তানকে থামিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।

৩০৭ রানে অলআউট করার পর ব্যাট হাতেও অস্ট্রেলিয়াকে চোখ রাঙাচ্ছিল পাকিস্তান। একটা সময় মনে হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে পাকিস্তান বুঝি আরেকটা আপসেটের জন্ম দিতে যাচ্ছে। স্টয়নিসের বিকল্প না থাকায় নিজের হাতেই বল তুলে নেন ঞ্চি। ২৫ ওভার শেষে যখন বল হাতে এলেন পাকিস্তানের রান তখন ৩ উইকেটে ১২৬। ৪৫ রানে অপরাজিত মোহাম্মদ হাফিজ তখন উইকেটে দারুণভাবে সেট। ফিঞ্চের প্রথম বলটাকে হাঁটু গেড়ে সুইপ করে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন সরফরাজ আহমেদ।

পরের বলেই উইকেট পেতে পারতেন ফিঞ্চ। বলের লাইন মিস করেছিলেন সরফরাজ। সে যাত্রায় উইকেটরক্ষক ক্যারি বলটা ভালোভাবে গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদলান সরফরাজ। পরের দুই বলে আরো দুটি সিঙ্গেল। শেষ বলে লোপ্পা একটা ফুলটস দেন ফিঞ্চ। সেটাকে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন ‘প্রফেসর’ হাফিজ। তবে দুরত্ব পাননি। ডিপ মিড উইকেটে লোপ্পা ক্যাচ নেন মিচেল স্টার্ক।

এখানেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গেল পাকিস্তানের। পরের ওভারে প্যাট কামিন্স ফিরিয়ে দেন শোয়েব মালিককে। ফিঞ্চের দ্বিতীয় ওভারটা ভালোভাবে পার করে পাকিস্তান। কামিন্সকে বসিয়ে এই প্রান্ত থেকে রিচার্ডসনকে নিয়ে আসেন ফিঞ্চ। আসিফ আলীকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে পুরোপুরি চালকের আসনে বসে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।

এর আগে ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে মরিয়া ছিল অস্ট্রেলিয়া।

Leave A Reply

Your email address will not be published.