ট্রাম্পের উদ্বেগ বাড়িয়ে পুতিনের দিকে ঝুঁকছেন কিম

339

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: রাশিয়া সফরে যাবেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। ভিয়েতনামের হ্যানয়তে কিম-ট্রাম্প বৈঠক সেই অর্থে সাফল্য পায়নি। তারপরই উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক পুতিনের দেশে যাবেন। দাবি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর কোরিয়ো মিশনের প্রাক্তন আধিকারীক অ্যান্ড্রু কিম। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকাকে চাপে রাখতেই কিমের এই রাশিয়া যাত্রা৷

গত বছর অক্টোবরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া নানারকম পদক্ষেপ করছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই করেনি। উল্টে তারা নানান দাবি জানাচ্ছেন। এরপরই চলতি বছরে হয় হ্যানয় বৈঠক। যা সেই ফলপ্রসূ নয় বলে দাবি করেন অমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণেই তাই মনে করা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে বার্তা দিতেই কিমের এই রাশিয়া সফর।
 
উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করুক। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা করা হোক। দাবি করে আসছে ওয়াশিংটন। কিন্তু মার্কিন দাবি মেনে তা করতে নারাজ সিউল। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ বাড়াতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের রাষ্ট্রটি। তাতেও আটকানো যায়নি তাদের। পরে ট্রাম্প আমেরিকায় প্রসিডেন্ট হলে পরিস্থিতি একটু হলেও বদলায়।গত বছর জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠক হয় ট্রাম্প ও কিমের। পরে এবছর ফেব্রুয়ারিতে তা হয় ভিয়েতনামের রাজধানী শহর হ্যানয়তে। মনে করা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্র নায়কের বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে অগ্রগতির খবর আসবে। কিন্তু হল উল্টো। 

ট্রাম্প দাবি করেন, বিষয়টি ছিল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। তারা চাইছিল যে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাটি পুরোপুরি তুলে নেয়া হোক, যা আমরা করতে পারি না।

উত্তর কোরিয়ার ‘ইয়াংবিয়ন পারমাণবিক’ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার বদলে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানান কিম। কিন্তু তাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত নয় বলে জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কোনও পক্ষ মুখে কিছু না বললেও স্পষ্ট যে উভয় রাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছুটা শিথিলতা এসেছে। এরপরই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ফলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.