বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বাড়াতে ইরি’র সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী

312

ঢাকা: দেশে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিআরআরআই) সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর ইউএনবি’র।


বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইরি’র মহাপরিচালক ড. ম্যাথিউ মোরেল সাক্ষাৎ করতে আসলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ভাষণ লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
বিপুল পরিমাণে লবণ, ঠান্ডা ও খরা-সহনশীল জাতের ধানের উদ্ভাবন এবং গভীর পানির ধান জাতের উন্নতির জন্য গবেষণা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি দেশে অব্যাহতভাবে ধান চাষের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন, কারণ উর্বর জমির সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নজরুল বলেন, ‘আমাদের কৃষকরা খুবই স্মার্ট এবং দ্রুত শিখতে পারে। তারা সহজেই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারে।’

ফসলের ধরন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরাঞ্চলে গম, ভুট্টা, ডাল ও অন্যান্য ফসল চাষ করা হয়, যেগুলোতে কম পানি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা দক্ষিণ অঞ্চলে চাল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

তিনি পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সেচ ব্যবস্থায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেচের জন্য নদী, খাল ও বিলসহ দেশের পানির উৎসগুলো পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইরি ও বিআরআরআই এর মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইরি’র মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের ধানের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিআরআরআই এর সঙ্গে একটি সহযোগী কর্মসূচি গ্রহণে আগ্রহী তারা।

তিনি বলেন, ইরি’র সহযোগিতামূলক কর্মসূচির আওতায় ১৪ দফা কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে, বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আউশ এলাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি, আমন ফসলের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন, বিকাশহীনতা রোধ করে বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, গবেষণার মাধ্যমে স্থানীয় পরিবেশের জন্য উপযুক্ত হাইব্রিড চাল তৈরি এবং বাংলাদেশে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত ধান সরবরাহ করা।

ড. ম্যাথিউ বলেন, ইরি এই কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বিআরআরআই এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী।
এ কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিআরআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, দক্ষিণ এশিয়ার ইরি প্রতিনিধি ড. নাফিস মিয়াহ এবং বাংলাদেশের ইরি প্রতিনিধি ড. হুমনাথ ভাণ্ডারি।

ইরি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন, অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.