স্টেইনের বোলিং দাপটে চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা

248

স্পোর্টস ডেস্ক: ২৩৫ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেঁধে রেখে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দ্বিতীয়দিন মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু স্টেইন ঝড়ে বেসামাল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ প্রথম ইনিংসে দলকে লিড এনে দিতে। ডারবানে প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে গেল দ্বীপ রাষ্ট্রের ইনিংস। আর বোলারদের দাপটে কিংসমেডে দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেট খুঁইয়ে ১২৬। শ্রীলঙ্কার থেকে তারা এগিয়ে ১৭০ রানে।

থিরিমানেকে ফিরিয়ে প্রথমদিন শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রথম আঘাতটা হেনেছিলেন স্পিডস্টার ডেল স্টেইন। দ্বিতীয়দিন সকালে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২ রান যোগ হওয়ার পরই প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন ওশাদা ফার্নান্দো। ১৯ রানে স্টেইনের ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই ফিলান্ডারের শিকার হন অধিনায়ক করুণারত্নে। ৯০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সফরকারী দল। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ডি সিলভা-লাকমলের ৪৩ রানের জুটি কিছুটা আশার সঞ্চার করে।২৩ রানে ডি-সিলভা যখন ফেরেন শ্রীলঙ্কার রান তখন ১৩৩। এরপর শেষ চার উইকেটে ৫৮ রান তুলে শেষ হয় সফরকারী দলের ইনিংস। স্টেইন ৪৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি দু’টি করে উইকেট নেন বাকি দুই পেসার ফিলান্ডার ও রাবাদা। মূলত প্রোটিয়া পেসারদের দাপটেই প্রথম ইনিংসে লিড নিতে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। একটি উইকেট নেন ডুয়ান ওলিভিয়ের।

৪৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। তবে বাঁ-হাতি স্পিনার লসিথ আম্বুলদেনিয়ার ভেল্কিতে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান তোলার গতি খানিকটা ধাক্কা খায়। দলীয় ৩৬ রানে ও ব্যক্তিগত ২৮ রানে মারক্রামের উইকেট হারায় তারা। এরপর ১৬ রানে হাসিম আমলাকে সাজঘরে ফেরান ফার্নান্দো। মাত্র ৩ রানে আম্বুলদেনিয়ার শিকার হন বাভুমা। ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়া ওপেনার এলগারকেও ৩৫ রানে ফেরান তিনি।

৯৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ডু প্লেসি ও কুইন্টন ডি কক। দু’জনের অবিভক্ত ৩১ রানের পার্টনারশিপে ভর করে দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১২৬। অধিনায়ক ও ককের ব্যাটে তৃতীয়দিন শ্রীলঙ্কাকে অন্তত ২৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার চেষ্টায় প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিন বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার নায়ক স্টেইন জানান, ‘তৃতীয় দিন সকালে লিড বাড়িয়ে নিতেই মাঠে নামবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা। এরপর লক্ষ্য হবে প্রথম ইনিংসের মত বোলিং পারফরম্যান্স ধরে রাখা। তাহলেই ম্যাচ জয় অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.