ঢাকা: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নদী দখল মুক্ত করার জন্য যে উচ্ছেদ অভিযানের কাজ হাতে নিয়েছি, সেখান থেকে পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কেউ হতে পারে না। সুতরাং নদী দখল মুক্ত অভিযান চলবে। কারো প্রভাবে এটি বন্ধ হবে না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় সংসদে জাপার সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর (সুনামগঞ্জ-৪) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি সরকারের এ দৃঢ়তার কথা বলেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৬ সালে একনেক বৈঠকে ঢাকার চারপাশের নদী ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দূষণ ও নদী দখল মুক্ত করার জন্য একটি প্রকল্প পাস হয়। সে সময় এ বিষয়ে একটি ট্রাক্সফোর্সও গঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার চার পাশের নদীসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীর দখলমুক্ত করতে ও নদী দূষণরোধে উচ্ছেদ অভিযান চালান হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চলছে। কোন প্রভাবশালীদের প্রভাবে এটা বন্ধ হবে না।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, কেউ বাধা দিলে তা মানা হবে না। এটি অব্যাহত থাকবে। এটাকে কেউ রোধ করতে পারবে না। উচ্ছেদ অভিযান চলবে। সর্বস্তরের মানুষ ও পরিবশেবিদরা এটাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এর পরে আমরা নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে এটাকে আরও বেশি বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে চাই।
এদিকে সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার পরে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছোট বড় মোট ৬৩৯টি দুর্ঘনায় মোট ৪ হাজার ৭৩২ জন মারা গেছে।
তিনি জানান, মেরিন কোর্টে উক্ত সময়ে নৌ দুর্ঘটনাসহ নৌযান পরিচালনায় বিভিন্ন অপরাধে জন্য ২৬ হাজার ৮৯৭ টি মামলা হয়। এর মধ্যে নৌ দুর্ঘটনার মামলা ৪৪৮টি।
অন্যদিকে, নাছিমুল আলম চৌধুরী (কুমিল্লা-৮) লিখিত প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি সংগ্রহ’ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে আটটি ড্রেজার সংগ্রহীত হয়েছে। ২টি এ মাসে এবং অবশিষ্ট ড্রেজারগুলো চলতি বছর ড্রেজার বহওে যুক্ত হবে।
শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে জানান, বর্তমানে বিআইডব্লিউটি এ উদ্ধারকারী জাহাজের সংখ্যা ৪টি।