বিজ্ঞানে নারী ও মেয়ে শিশুদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান বাংলাদেশের

317

নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞান ক্ষেত্রে নারী ও মেয়ে শিশুদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। খবর ইউএনবি’র।

নারী ও মেয়ে শিশুদের বিজ্ঞান বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার নিউইয়র্কে ‘সামগ্রিক সবুজ প্রবৃদ্ধিতে নারী ও মেয়ে শিশুদের জন্য বিনিয়োগের মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রথম প্যানেল আলোচনায় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ এবং সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র, এনজিও ও সুশীল সমাজ যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করে বলে মঙ্গলবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে নারীর ক্ষমতায়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে তা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। বিশেষ করে তিনি মেয়ে শিশুদের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সাফল্য এবং গত এক দশক ধরে নারী ও মেয়ে শিশুরা ধারাবাহিকভাবে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যেভাবে অগ্রসর হয়েছে তা উল্লেখ করেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘কলেজ পর্যায়ে মেয়েরা প্রায় সমপর্যায়ে উঠে এসেছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ করে চিকিৎসা ও জীবন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানে তারা ছেলেদের থেকেও ভালো করছে। তবে এখনও গবেষণার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে। এ অসমতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতি হালনাগাদ করেছি। এ নীতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ব্যবহারিক ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, লিঙ্গ সমতা এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রেও আমাদের এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক নীতিমালা ভূমিকা রাখছে।’

বিজ্ঞান ও গবেষণায় নারী ও মেয়ে শিশুদের দৃশ্যমান ভূমিকার ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা ও বাধার বিষয়গুলোও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত রেজ্যুলেশন অনুযায়ী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১১ ফেব্রুয়ারিকে নারী ও মেয়ে শিশুদের বিজ্ঞান বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিবসটি ২০১৬ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে।

প্রতিবছর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রিন্সেস নিসরিন এল-হাসিমিতের নেতৃত্বে ‘দ্য রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (র‌্যাসিট) জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র ও অন্যান্য সংস্থাকে নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করে আসছে। গত বছর দিবসটি উদযাপন শেষে গৃহীত ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ে সমতা ও সমমর্যাদা’ শীর্ষক চূড়ান্ত দলিলে ২৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশও যোগদান করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.