কারাগারে ডাক্তার এনে খালেদার চিকিৎসার আবেদন

283

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না এবং সমস্যাগুলো দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি করে কারাগারে ব্যক্তিগত ডাক্তার এনে তার চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আজ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নাইকো মামলার শুনানি শেষে আদালতে এই আবেদন করা হয়।

ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে আজ নাইকো মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়।

বিচারক তার এজলাসে আসেন ১২টা ২৮ মিনিটে। এরপর শুনানি শুরু হয়। আদালতের কার্যক্রম শেষ হয় ২টা ৫ মিনিটে। আদালতে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট খালেদা জিয়া হুইল চেয়ারে বসেছিলেন। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুনানিতে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার চিকিৎসার একটি আদেশ দেন। এরপর খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। চিকিৎসার শেষ না করেই উনাকে আবার কারাগারে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে উনার শারীরিক অবস্থা ভালো না। উনার শারীরিক সমস্যাগুলো বাড়ছে। এখানে ব্যক্তিগত চিকিৎসক এনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হোক।

এরপর বিচারক বলেন, হাইকোর্টের আদেশটি আদালতে দাখিল করেন। আমি দেখে পরে আদেশ দেবো।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিনসহ অনেকে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.