রোহিঙ্গা ও তিস্তা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে

332

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ‘সেফ হেভেন’ বা নিরাপদ এলাকা তৈরি করে সেখানে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক ভারতের কাছে এমন দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে মিত্রদেশ ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বন্ধু রাষ্ট্ররা রোহিঙ্গাদের দেখভালের দায়িত্ব নিলে, রাখাইনে ফেরত গিয়ে তারা ভালো আছে কি না পর্যবেক্ষণ করলে, মিয়ানমার তা মেনে নিতে পারে। কারণ, ভারত, চীন বা আশিয়ান সদস্যরা মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সমাধান সূত্র শুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বলেছেন, ‘উদ্ভাবনী (ইনোভেটিভ) প্রস্তাব।’

নৈশভোজের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় নতুন এই প্রস্তাবের কথা জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, আমি সুষমা স্বরাজকে বিস্তারিত সব বলি। উনি জানতে চান, কথাটা আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছি কি না। উত্তরে আমি বলি, বলেছি, তবে সংক্ষিপ্তভাবে। শুনে মোদি ইনোভেটিভ প্রপোজাল বলে মন্তব্য করেছেন। সুষমা তখন বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো আপনার বন্ধু। প্রস্তাবটা তাঁকে দিচ্ছেন না কেন? জবাবে বলি, বন্ধু ঠিকই, কিন্তু প্রস্তাবটা ভারতের কাছ থেকে গেলে মিয়ানমার বেশি গুরুত্ব দেবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছেন। এই নদীগুলোর মধ্যে কয়েকটি আবার চীন থেকে প্রবাহিত। সে ক্ষেত্রে পানি বণ্টনের মীমাংসা কীভাবে হবে, দ্বিপক্ষীয় না বহুপক্ষীয়, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা তা ঠিক করবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.