মিতুর ‘গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’ তথ্য ফাঁস

348

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ নয় বছর প্রেম। প্রচণ্ড ভালোবাসতেন প্রেমিকাকে। বিয়ের কয়েকদিন আগে জানতে পারেন বিভিন্ন ছেলের সাথে হোটেলে রাত কাটায় তার প্রেমিকা। এরপরেও সব ভুলে বিয়ে করে শুরু করে সংসার। এর কিছুদিন পরে আবার জানতে পারে নতুন কিছু পরকীয়া প্রমিকদের সাথে রাত কাটাচ্ছে তার স্ত্রী। এতকিছু সহ্য না করতে পেরে অবশেষে নিজের জীবন দিয়ে দিলেন।

বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার মোস্তফা মোরশেদ প্রকাশ আকাশের কথা। পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৫ টার দিক চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বরের নিজ বাসায় শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এরপর বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মিতুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিতুকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে চান্দগাঁও থানায় আনা হয়।

সেখানে বিয়ের পরও একাধিক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে স্বীকার করেছেন আত্মহত্যা করা ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু। এসময় তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’ কিছু তথ্য দিয়েছেন পুলিশকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের বলেন, তিন দিনের রিমান্ডে মিতু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে মিতু তুলে ধরেছেন, বিয়ের পরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তথা দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন নিয়ে নানা কথা। তবে ডা. আকাশের এমন মৃত্যু কামনা করেননি জানিয়ে তার মৃত্যু তাকে কষ্ট দিয়েছে বলে জানান মিতু।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে মিতুকে আদালতে সোপর্দ করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রিমান্ডে মিতুকে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাবাদ করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি স্ত্রী মিতুর বিরুদ্ধে পরকীয়তার অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ। এরপর আকাশের মা আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ মিতুসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিতু’র মা মোছাম্মৎ শামীম শেলী, বাবা মোহাম্মদ আনিছুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), ড. মাহবুবুল আলম (২৮) এবং প্যাটেলকে আসামি করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.