‘মুসলিম-আমেরিকানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের সুযোগ নেই’
নিউইয়র্ক থেকে : মার্কিন কংগ্রেসে ফরেন রিলেশন্স কমিটির সদস্য কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমার বলেছেন, ‘মুসলিম-আমেরিকানরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক নয়। তাই আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র আর ভাষার নাগরিকের সম-অধিকার নিশ্চিত করেছে। এসব বিষয় খেয়ালে রেখে মুসলমানদের সোচ্চার থাকতে হবে’।
‘এই আমেরিকার সামগ্রিক উন্নয়ন ও কল্যাণে মুসলমানেরাও তাদের শ্রম-মেধার বিনিয়োগ ঘটাচ্ছেন অন্য নাগরিকদের মতোই। তাই তারা বৈষম্যের শিকার হবেন-এটি কখনোই মেনে নেয়া হবে না। তবে এজন্যে সকলকে মূলধারার রাজনীতিতে আরো জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে’-উল্লেখ করেন কংগ্রেসওম্যান ইলহান।
নিউইয়র্কে মুসলিম এডভোকেসি কোয়ালিশনের পক্ষ্য থেকে‘ হিজাবী কংগ্রেসওম্যান’ হিসেবে খ্যাত ইলহানের সম্মানে ৩ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠান হয় ফ্রেশমেডোতে আলী বাবা রেস্টুৃরেন্টে। বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি এতে অংশ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মুসলিম তথা অভিবাসন বিদ্বেষী পদক্ষেপের কঠোর সমালোচক ইলহানকে অভিনন্দিত করেন।
এ অনুষ্ঠানে যৌথ-চেয়ারপার্সন ছিলেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ রহমান তুহিন এবং ডা. ইসমা চৌধুরী।
এম এ করিম মাজওয়ালার উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে ইলহানকে স্বাগত জানিয়ে এবং তার কর্মকাণ্ডের প্রতি বাংলাদেশি-আমরিকানসহ সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের অকুন্ঠ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন হোস্ট সংগঠনের নেতা আব্দুল আজিজ ভূইয়া, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান, কমিউনিটি এাক্টিভিস্ট ড. ডেভি মুসতাসির। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ডা. ওয়াজেদ এ খান, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার প্রমুখ। উল্লেখ্য, মিরেসোটার কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে গত নভেম্বরে নির্বাচিত ইলহান এর আগে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যা ছিলেন।