৩ বিষয়ে ঢাকা-নয়াদিল্লি সমঝোতা
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ভারত সফরে ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
শুক্রবার দুপুরে দুই দেশের যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠক শেষে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশের ১ হাজার ৮০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত। এছাড়া চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে দুই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে দুই দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন একসঙ্গে কাজ করবে।
এছাড়াও মোংলায় অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ সহায়তার জন্য ভারতের হিরোনদানি গ্রুপ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অন্যদিকে ছিলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভেশ কুমার জানান, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের বিস্তারিত আলাপ হয়। সম্পর্কের মাত্রা নিয়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করে। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক আস্থার সম্পর্ক সামনের দিনে আরও শক্তিশালী হবে বলেও এক টুইট বার্তায় জানান তিনি।
রাভেশ কুমার আরও জানান, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের আরও সমর্থন চান। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকেও এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে ঢাকার পাশে থাকার অঙ্গীকার করা হয়।
মোমেন-সুষমার বৈঠক
এর আগে, ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পক্ষে জোরালো সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এই সময়ে নরেন্দ্র মোদি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ঢাকার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের পঞ্চম যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে গত বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারত সফরে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ভারত সফর শেষে শনিবার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সর্বশেষ যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক ২০১৭ সালের অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।