‘বিজয় পাওয়া কঠিন, বিজয় রক্ষায় কাজ করে যাওয়াও কঠিন’
ঢাকা: বিজয় পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনি বিজয় রক্ষা করে কাজ করে যাওয়াও তেমনি কঠিন। জনগণ শান্তি চায়। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ে তুলবো।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন পর স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমি মা-বোন, নারীদের, তরুণ প্রজন্মকে, এদেশের কৃষক-শ্রমিক-কামার-কুমার-তাঁতীসহ সর্বোস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই; যারা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, যারা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনসহ তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঐক্যবদ্ধ শক্তি সবসময় বিজয় অর্জন করে এই নির্বাচনে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। যারা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল, সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই এই কারণে যে, তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে অর্থবহ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব যখন নিয়েছি, সরকার গঠন করেছি। এরপর দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সবার সেবা করবে সরকার। যারা ভোট দিয়েছেন অথবা দেন নাই তাদের সবার জন্যই কাজ করবে সরকার।
বিজয় রক্ষা করে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব পালন করা বিজয় অর্জন করার চেয়েও কঠিন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার রায় এটি। তাই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা জনপ্রতিনিধিদের মনে রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুুল ইসলাম আমিনের সঞ্চলনায় জনসভা শুরু হয়।
৩০ ডিসেম্বর তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের রেকর্ড করলেও বিজয় মিছিল না করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিজয় আনন্দ থেকে নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করতে চায় না আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় সমাবেশে করার ঘোষণা দেয় দলটি। বিজয় সমাবেশ থেকে দেশবাসীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।