বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ফোনালাপ ফাঁস!

400

ঢাকা: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা বুলবুল আক্তার শান্তর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফোনালাপটি ভাইরাল হয়েছে। ফোনালাপটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

শান্ত : ভাই, আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন ভাই?

শামীম : আছি ভালো।

শান্ত : দেখি না আপনারে অনেক দিন ধরে? কি হবে আমাদের ভবিষ্যৎ?

শামীম : শেষ, শেষ…

শান্ত : সব শেষ না?

শামীম : একদম, যা বলছি তাই।

শান্ত : ‘হ্যাঁ, রিজভী (রুহুল কবির রিজভী) ভাই দেখলাম আজকে কয়েকজন লইয়া, ১০/১২ জন লইয়া একটা মিছিল করল। ফেসবুকে দেখলাম।’

শামীম : ১০/১২ জন নিয়ে মিছিল করে কি হবে?

শান্ত : ‘মানে ১০/১২ জন নিয়ে ৩০ তারিখের নির্বাচনের প্রতিবাদে একটা মিছিল করলো। এটা একটা হাস্যকর হলো না? বড় একটা মিছিল করতো তাও হতো। মনে হয় সেই দল চালায়, আর কেউ নাই। আর কোনো নেতাকর্মী নেই।’

শামীম : কি অবস্থা?

শান্ত : ‘একবারে ঠান্ডা….ওই মহাসচিবের সঙ্গে একটু পিএস একটু দৌড়ায়, সে মনে করে আর কারও দরকার নেই আর কি।’

শামীম : ‘মির্জা ফখরুলকে (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) পিটাতে হবে। জুতা দিয়ে পিটাতে হবে।’

শান্ত : ‘সেই উপক্রমই হচ্ছে। তার ভাব চক্রর তাই মনে হচ্ছে। আগের থেকে তার ভাব বেড়ে গেছে। সেও ছবি তুলতে দেয় না।’

শামীম : ‘শায়রুল কবীর খানকেও পিটাতে হবে, তারেও (মির্জা ফখরুল) পিটাতে হবে। ফেসবুকে লোকজন লেখতেছে না। নসুরেও পিটাতে হবে।’

শান্ত : নসুও তো ভালো চামে আছে। আমি তো ওদের সঙ্গে মিশতেও পারি না। ঘোরতেও পারি না। আমি যাই, সাইডে থাকি।

শামীম: না না.., নসুরে একটা মার দিতে হবে।

শান্ত : মার তো দেওয়া যায়। মার দিলে তো সোজা হবে না, ভাই। ওই গুলোরে তো কল-কবজাতে নষ্ট করে দিতে হবে।

শামীম: না না…

শান্ত : নোয়াখাল্লাতে মার দিয়ে লাভ নাই।

শামীম: না, না

শান্ত : কৌশলে মার দিতে হবে।

শামীম : নসুরে মার দিতে হবে।

শান্ত : ও তো একলা একলা চলে। ওরে তো মার দেওয়ায় যায়।

শামীম : কল-কবজা সব শেষ করে দিতে হবে।

শান্ত : সে তো কিছুই করতে পারবে না।

শামীম : মির্জা আলমগীর আর ঐক্যফ্রন্ট সরকারের একটা দালাল।

শান্ত : হ্যাঁ, হ্যাঁ এখন এটাই মনে হচ্ছে। পার্থ ভাইও তো বলে, পার্থ ভাইতো স্ট্রেট বলে। পার্থ ভাই মনে হয় থাকবে না।

শামীম : তাই না।

শান্ত : পার্থ ভাই ২০ ভেঙে চলে আসতে পারে। এই ধরনের আলাপ আলোচনা চলছে। তার মুখ দিয়ে বলছে আমারে। আমি তার নির্বাচন পুরা করছি না, এজন্য আমি সব বসে বসে দেখছি। ডোনার ভাইও ছিল।

শামীম : ঠিক আছে সাক্ষাতে কথা বলবো।

শান্ত : তো তার (ডোনার) বাসায় রাখছে কয়েকদিন।

শামীম : ঠিক আছে।

শান্ত : আচ্ছা ঠিক আছে, ফোন দিয়েন ভাই। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave A Reply

Your email address will not be published.