ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান খাসোগির বান্ধবীর
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ও ওয়াশিংটন পোস্টের নিহত সাংবাদিক জামাল খাসোগির বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিজকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন চেঙ্গিজ।
শনিবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প খাসোগির হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়ে তৎপর নন বলে অভিযোগ তুলে এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন চেঙ্গিজ।
তুরস্কের টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমেরিকার জনমতকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে তাকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তিন সপ্তাহ আগে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খুন করা হয় খাসোগিকে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে বর্তমান সৌদি রাজপরিবারের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে রিয়াদ এবং এটি ‘দুর্বৃত্ত এজেন্টদের’ কাজ বলে দোষারোপ করে।
এই মাসের শুরুতে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক নিবন্ধে চেঙ্গিজ বলেন, যদি ট্রাম্প ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সেদিন আসলে কি ঘটেছে তা উন্মুক্ত করার প্রচেষ্টায় প্রকৃতই অবদান রাখেন, তাহলে তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করার বিষয়ে আমি বিবেচনা করবো।
ট্রাম্প বলেছেন সৌদি কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে তিনি সন্তুষ্ট নন, কিন্তু দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি সেখানেও দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতেন না।
সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ সালমানের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন খাসোগি। গত ২ অক্টোবর খাসোগি তার বিবাহবিচ্ছেদের কাগজ সংগ্রহ করতে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর আর বের হন নি।
সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়, সৌদি আরব থেকে আসা ১৫ জনের একটি দল তাকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে।
সৌদি আরব বলছে, কিছু এজেন্ট তাদের ক্ষমতার সীমার বাইরে গিয়ে এ কাজ করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের অধিকাংশ পশ্চিমা মিত্ররাই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এবং এর পূর্ণ ব্যাখ্যা দাবি করেছে। কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারে মত-ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে।