‘তেজগাঁও বিমানবন্দরে অনেকের কুদৃষ্টি আছে’
ভিভিআইপি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তেজগাঁও বিমানবন্দরে অনেকের কুদৃষ্টি আছে। আমি বারবার বিমান বাহিনীকে সতর্ক করেছি, এই জায়গা নেয়ার জন্য সকলে কিন্তু হাত বাড়িয়ে বসে আছে।’
শনিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর এয়ার মুভমেন্টে ফ্লাইটের নতুন ভিভিআইপি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, ‘আমি এটুকু সতর্ক করতে চাই যে, এটার ওপর অনেকের কিন্তু শ্যেন দৃষ্টি আছে। কখনো যেনো এটা নিতে না পারে, সেজন্য এটার ব্যবহার বাড়াতে হবে। মাঝে মাঝে এখান থেকে প্লেন চালাতে হবে। যেন সকলে জানে, এটা ব্যবহার হচ্ছে। আমি যখন থাকব না, তখন এসে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ এর দশকে তখনকার ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষে এটি বেসামরিক বিমানবন্দরে হিসেবে চালু হয়। ১৯৮১ সালে নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত তেজগাঁও বিমানবন্দরই ছিল দেশের প্রধান বিমানবন্দর। বর্তমানে এ বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
ঢাকায় আরেকটা বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই না যে এয়ারপোর্টটা নষ্ট হোক। ঢাকা শহরে আরেকটা এয়ারপোর্ট আমাদের একান্তভাবে দরকার। যেহেতু এটা আমাদের জন্য তৈরি করা আছেই; কেন আমরা এটাকে নষ্ট করব।
আর এটা যেন বেহাত না হয়। এই এয়ারপোর্ট কোনো দিনই বন্ধ হবে না। এটা বিমান বাহিনীর, বিমান বাহিনীরই থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নতুন ভিভিআইপি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠানে কেক কাটেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। পরে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে চড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হন।