জাতীয় নেতাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাব
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে জাতীয় নেতাদের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ড ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
২৪ অক্টোবর, বুধবার বিকেলে সিলেটে রেজিস্টারি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে এ প্রস্তাব দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার বেলা ২টার আগে থেকেই বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ব্যানারে মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং ঐক্যফ্রন্টের সিলেট কর্মসূচির সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পরিচালনায় সমাবেশটি শুরু হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার গায়ের জোরে কথা বলা বন্ধ করতে চেয়েছে কিন্তু সম্ভব হয়নি। বাধা দিয়ে নেতা-কর্মীদের সমাবেশে আসতে দেওয়া হয়নি।’
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণার আগে আলোচনায় আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান। আলোচনায় না বসলে যে পথে হেঁটে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতিতে সরকারের চোখে ছানি পড়েছে। এই ছানি কাটাতে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু।’
তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের সংস্কার দরকার আর কামাল হোসেন এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনই আইনের সংস্কার করতে পারবে।’
এ সময় ড. কামাল হোসেনের কাছে আগামী ৪ নভেম্বর বনানী জাতীয় নেতৃবৃন্দের কবর, জিয়াউর রহমানের সমাধি এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিকে বাদ দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায় বলেই দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
এ সময় তফসিল ঘোষণার আগে বেগম জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনাসহ সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানান বিএনপি নেতা মোশাররফ।
মোশাররফ বলেন, ‘বেগম জিয়াকে মুক্ত করে তাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। বেগম জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে সংলাপে আসতে হবে, সমঝোতায় আসতে হবে। না আসলে সঠিক সময়ে দেশের জনগণ সঠিক কর্মসূচি দিবে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে মওদুদ বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বর্তমান সরকারের প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার করা হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা সম্ভব নয়। বৃহত্তর ঐক্যের আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তারেক রহমান আবার দেশে ফিরে আসবে। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। বাধা দিলে জবাব দেওয়া হবে।’
আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে একঘরে করে তাদের পতন ঘটানো হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়া এবং গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্ত করা হবে।’