খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা আমার রক্তের মধ্যেই রয়েছে
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা: শত ব্যস্ততার মাঝে আমি যখনই সুযোগ পাই, বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে ছুটে যাই। আসলে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা আমার রক্তের মধ্যেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সব জায়গায় ফুটবল খেলা হয়, এদেশের হাটে, মাঠে, ঘাটে ফুটবল খেলা হয়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা খেলাধুলা করতেন। স্কুল জীবনে তিনি ছিলেন একজন সেরা ফুটবল খেলোয়াড়। আমার দাদাও ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামাল ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও তারা অনেক দক্ষতা দেখিয়েছেন। আমাদের পরিবারের আরেক সদস্য সুলতানা কামাল খুকুও ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফিলিস্তিন ৪-৩ গোলের ব্যবধানে তাজিকিস্তানকে পরাজিত করে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় ফিলিস্তিন।
আগামীতে এই টুর্নামেন্ট আরও বড় পরিসরে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবলের উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমারা সব উদ্যোগ নেব।
বৃষ্টি বাদলের দিনে এত কষ্ট করে খেলা দেখতে আসায় স্টেডিয়ামের সকল দর্শককে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
স্টেডিয়ামে আগত দর্শকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা এই বৃষ্টির দিনে কষ্ট করে খেলা দেখতে এসেছেন। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শেখ হাসিনা বলেন, একটানা সাড়ে ৯ বছর জনসেবার সুযোগ পেয়েছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। সম্প্রতি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের রায় কার্যকর করেছি। সব বাধা ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি ২১-এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপমুক্ত একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞান-নির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, এ বিষয়ে সচেতন হয়ে সবাইকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, ইনশাআল্লাহ। প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
আগামী দিনে বাংলাদেশ এ ট্রফি (বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ) জয় করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।