যেসব পুরুষ এই কাজটি করে, মেয়েরা শারীরিকভাবে আকৃষ্ট তাদের প্রতিই!
যে কোন নারী কোন পুরুষের প্রতি কেন আকৃষ্ট হবেন, তার কারণটি ব্যক্তিভেদে নিশ্চয়ই ভিন্ন হয়ে থাকে। একেক জন নারী একেক জন পুরুষের প্রতি ভিন্ন ভিন্ন কারণে আকৃষ্ট হতে পারেন। তবুও গবেষকরা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ‘ল অফ অ্যাট্রাকশন’ বা আকর্ষণের সূত্র। তারা জানতে ইচ্ছুক পুরুষ বা নারীদের মধ্যে ঠিক কোন বিষয়টি তাদের প্রতি বিপরীত লিঙ্গকে বেশি আকর্ষণ করে থাকে। আর এ রকমই একটি গবেষণায় কিছু নতুন তথ্য বের হল। স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ স্টারলিং-এর গবেষকরা তাদের পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার ভিত্তিতে জানিয়েছেন, যেসব পুরুষ ডিওডোরান্ট জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করেন, তাদের প্রতি নারীরা সহজেই আকৃষ্ট হন। মোট ৩৬৯ জন নারী-পুরুষকে নিয়ে চালানো এই সমীক্ষায় প্রথমে কয়েকজন পুরুষের ছবি দেখানো হয়েছিল নারীদের। তারপর সেই পুরুষদের সঙ্গেই ওই নারীদের ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত করানো হয়। তাতে দেখা যায়, ছবি দেখে যেসব পুরুষের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন নারীরা, তাদের অনেককেই ব্যক্তিগত পরিচয়ের পর আর আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে না তাদের।আবার এমনটাও দেখা যায় যে, ছবি দেখে পছন্দ হয়নি, এমন অনেক পুরুষকেও ব্যক্তিগত পরিচয়ের পরে বেশ মনে ধরছে নারীদের।
গবেষকরা বুঝতে পেরেছেন, পুরুষদের শরীরে ঘামের গন্ধ কিংবা ডিওডোরান্টের সুবাস এক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যেসব পুরুষের শরীরে ঘামের গন্ধ রয়েছে, তাদের তুলনায় যেসব পুরুষ ডিওডোরান্ট মেখে তরতাজা হয়ে থাকছেন, তাদের ৪০ শতাংশ বেশি আকর্ষণীয় মনে করছেন নারীরা। এই সমীক্ষার ভিত্তিতে চারটি সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছেন গবেষকরা। তা হলো-
* মেয়েদের ঘ্রাণশক্তি পুরুষদের তুলনায় অনেক প্রবল।
* যেসব পুরুষকে তেমন সুপুরুষ বা সুদর্শন বলে মনে করছেন না মেয়েরা, সেই পুরুষরাও যখন ডিওডোরান্ট ব্যবহার করছেন, তখন তাদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
* যেসব পুরুষের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করছেন মেয়েরা, তারা ডিওডোরান্ট ব্যবহার করলে তাদের প্রতি মেয়েদের টান আরো বাড়ছে।
* সমীক্ষার অঙ্গ হিসেবে এটাও জানার চেষ্টা করা হয়েছিল যে, ডিওডোরান্টের প্রয়োগ পুরুষের চোখে একজন মেয়ের আকর্ষণীয়তা বাড়ায় কী-না। তাতে দেখা যায়, ডিওডোরান্ট ব্যবহারকারী মেয়েদের অনেক বেশি অ্যাট্রাকটিভ মনে করছেন ছেলেরা। সুতরাং ঘামের গন্ধ নয়, ডিওডোরান্টের সৌরভই এখন মেয়েদের কাছে পুরুষের প্রতীক! এমনটাই যেন দাবি গবেষকদের। সূত্র: এবেলা।